ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার সন্ধান মিলেছে। নিখোঁজের প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর গতকাল সকালে তিনি নারায়ণগঞ্জের হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে গিয়ে সাহায্য চান। এ সময় তিনি অপহরণ ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রীতি বিজয়নগরে ফিরে আসেননি। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, প্রীতি খন্দকারের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি তারা সকালে জানতে পারেন। পরে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রীতি খন্দকারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রীতি জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে বিজয়নগরের হরষপুর এলাকায় নির্বাচনি প্রচার চালানোর সময় দুই নারী এসে মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে একটি পান খেতে দেওয়া হয়। পান খাওয়ার পর থেকেই আর কিছু মনে নেই।’ তার দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে একটি কালো গাড়ি থেকে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তিনি জানতে পারেন এটি নারায়ণগঞ্জ। পরে তিনি পুলিশের সহযোগিতা চান। পুলিশের মাধ্যমে তিনি স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। প্রীতির স্বামী মাসুদ খন্দকার অভিযোগ করেন, অপহরণ করার পর তার স্ত্রীকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। অপহরণকারীরা তার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জানে। তিনি বলেন, তারা (অপহরণকারীরা) প্রীতির কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশের সহায়তায় প্রীতি রক্ষা পেয়েছেন। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। উদ্ধারের আগে মাসুদ খন্দকার অভিযোগ করেছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে তার স্ত্রী সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্ম ফুল প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। সার্ভার ত্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাই কোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচার চালানোর সময় তিনি একটি বাড়ির ভিতরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। মিনিট বিশেক পার হলেও বের হচ্ছেন না বিধায় সঙ্গে থাকা দুজন নারী ভিতরে যান। সেখানে গিয়ে তাকে আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসিকে অবগত করা হয়। পরে তিনি এ বিষয়ে থনায় জিডি করেন। স্ত্রীকে গুম করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ওই নারী নিজেই এসে পুলিশের সহায়তা চান। নিজেকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বলে পরিচয় দেন। এরপর বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়।