সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মঞ্চে সুদখোর ব্রজেন মুখার্জি

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

মঞ্চে সুদখোর ব্রজেন মুখার্জি

নাটকের দল থিয়েটার-৫২ ঢাকার নাট্য মঞ্চে মঞ্চায়ন করল ভিন্ন ধারার হাসির নাটক ‘সুদখোর ব্রজেন মুখার্জি’। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি হাস্যরসাত্মক লেটো নাটক অবলম্বনে ‘এক্সপেরিমেন্টাল’ এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন জয়িতা মহলানবীশ।
গতকাল সন্ধ্যায় নাটকসরণিখ্যাত বেইলি রোডের মহিলা সমিতির মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হয় নাটকটি। নির্দেশক জয়িতা মহলানবীশ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম যে লেটো নাটকগুলো রচনা করতেন, তা কিছুটা সংগ্রহ করতে পারলেও, কীভাবে তা পরিবেশন করতেন- তা সম্পর্কে তথ্য নেই। লেটো নাটকের প্রযোজনা রীতি বিষয়টিই যথেষ্ট অস্পষ্ট আমাদের কাছে। আমরা চেষ্টা করছি, বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে যতটুকু জানা যায়- তার থেকে একটি প্রযোজনা মঞ্চায়ন করার। কিন্তু সেটা আদৌ নজরুলের সেই লেটো ফর্মের নাটক কি না তা আমরা নিশ্চিত নই। তাই এটি মূলত কাজী নজরুল ইসলাম রচিত লেটো নাটকের একটি এক্সপেরিমেন্টাল প্রযোজনা। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, শিবলি সাদিক, আলবি অনিক, অপূর্ব রায়, দেবজ্যোতি রায় বিশাল, তাজরিন রাহমান সুমা, মঈনুদ্দিন শিহাব, অপূর্ব রায়, রঞ্জিতা দাশ, নাদিম হাসান প্রমুখ। এই লেটো নাটকে ব্রজেন নামের এক ব্রাহ্মণ চরিত্র রয়েছে, যিনি কৃপণ ও সুদখোর। হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে নাটকটিতে দল তার কাহিনিই তুলে ধরা হয়েছে। সমাজের দুর্বল শ্রেণির ওপর সুদখোরদের অত্যাচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ রয়েছে এই নাটকে। অপচয় রোধ নামে ভ- ব্রজেনের কৃপণতার অত্যাচার ও শোষণের হাত থেকে তার পরিবারের সদস্যরাও রেহাই পায়নি। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার পুত্র সতীশ গৃহত্যাগ করে মদ্যপ অবস্থায় শহরের এক পতিতালয়ে যায়। সেখানে মীনা নামের এক অসহায় পতিতার সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রণয় হয়। তারা দুজন বিয়ে করতে সম্মত হয়। নাটকে এই মীনাই তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ব্রজেনের পুরো পরিবারকে পাল্টে দেয়। মীনার বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়ে কৃপণ ব্রজেন তার সব সম্পত্তি মীনাকে লিখে দেয়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময়কালে তখনকার গ্রাম বাংলার চিত্র ফুটে উঠেছে এই লেটো নাটকে।

 

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর