সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে রাজা-যুবরাজ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে রাজা-যুবরাজ

আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে নানা নামে ও ওজনে কোরবানির গরু। এসবের মধ্যে কোরবানির হাট কাঁপাতে বাজারে আসছে ‘দিনাজপুরের রাজা’ ও ‘যুবরাজ’ নামের গরু দুটি।

জেলার পার্বতীপুরের হামিদপুর ইউপির মধ্যদুর্গাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক দেশি পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবারে নিজ বাড়িতে ১০টি গরু লালনপালন করেছেন। সুঠাম দেহের ষাঁড়ের নাম রেখেছেন ‘দিনাজপুরের রাজা’। সাদা-কালো রঙের ষাঁড়টির শরীরের দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট। ওজন ৩৫ মণ অর্থাৎ ১ হাজার ৪০০ কেজি। ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন আবদুর রাজ্জাক। অন্যদিকে খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউপির নেউলা গ্রামের খালপাড়ার সৌদি আরব প্রবাসী মো. জাকারিয়া হাবিব সৌদি আরবে থাকার কারণে শখ করে গরুটির নাম দেন ‘যুবরাজ’। নিজ বাড়ির ইটের দেয়াল আর টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে পালন করে বড় করেছেন যুবরাজকে। শাহীওয়াল জাতের ১৪ মণ ওজনের ষাঁড় গরু যুবরাজকে বিক্রির জন্য ১০ লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। ৫৬০ কেজি ওজনের এ যুবরাজকে দেখতে আসছেন অনেকে। ‘দিনাজপুরের রাজা’র মালিক আবদুর রাজ্জাক জানান, সাড়ে চার বছর আগে আমার খামারেই ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি থেকে জন্ম নেয় রাজা। হলেস্টান ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টিকে রাজার মতোই লালনপালন করায় নাম দিয়েছি ‘দিনাজপুরের রাজা’। ষাঁড়টি বাড়ি থেকে বের করতে চার-পাঁচজন প্রয়োজন হয়। হাটে আনা-নেওয়া কষ্টকর। তাই বাড়ি থেকে রাজাকে বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খাবারের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য খড়, ঘাস, ছোলা, মুসুরের ডাল ও ভূসি, ভুট্টার আটা, চোপড়, খুদের ভাত, খৈল, ধানের গুঁড়া ও চিটা গুঁড়। প্রতিদিন রাজার খাবারে খরচ হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। মাঝে মধ্যে কাচা কলা, গাজর, আপেলসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলও খাওয়ানো হয়। থাকার জায়গায় ২৪ ঘণ্টা তিনটি ফ্যান দেওয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে হাত পাখা দিয়ে রাজাকে বাতাস করতে হয়। প্রতিদিন তিন-চার বার গোসল করাতে হয়। বর্তমানে তার ছয় দাঁত। রাজ্জাক দাবি করেন, এ পর্যন্ত রাজাকে পালন করতে প্রায় ১৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে এবং জেলায় তার গরুটিই সবচেয়ে বড়। অন্যদিকে যুবরাজ গরুর মালিক মো. জাকারিয়া হাবিব জানান, বিদেশে থাকাকালীন তার পাঠানো টাকা দিয়ে একটি গাভি ক্রয় করেন। সেই গাভির একটি বাছুর জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় ‘যুবরাজ’। এখন গরুটির ওজন ৫৬০ কেজি। রোদ ও তাপ থাকায় গরুটিকে দিনে দুইবার করে গোসল করাতে হয়। গরুটিকে প্রতিদিন খড়, কাঁচাঘাস, খৈল, গমের ভূসি, চিটাগুড়সহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়াই। সবসময় ঘরের মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক ফ্যান চালানো হয়। যুবরাজকে বিক্রির জন্য ১০ লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর