মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গ্রাহকদের সঙ্গে করা প্রতারণার ফল ভোগ করছেন ড. ইউনূস

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজের পাপের ফল ভোগ করছেন বলে দাবি করেছেন ব্যাংকটির প্রধান আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাসুদ আখতার। তিনি বলেন, ‘কোনো দেব-দেবীর অভিশাপ নয়, বরং গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ সদস্যের সঙ্গে প্রতারণার অভিশাপ ভোগ করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। সেই পাপের ফল তিনি ভোগ করছেন।’

গতকাল সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে রবিবার গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন ড. ইউনূস ও তার আইনজীবী। তারই জবাবে গতকাল সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘উনি (ড. ইউনূস) নিজের ও পারিবারিক কোনো সুবিধা নেননি; কিন্তু উনি প্রিন্টিং প্রেসের জন্য উনার প্রতিষ্ঠানকে শত কোটি টাকার ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছেন এবং তা ৩০-৪০% বেশি দাম দিয়েছেন। তার এক মহাব্যবস্থাপক এসবের প্রতিবাদ করলে তাকে তিনি নির্যাতন করেছেন। গৃহবন্দি করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ’৯৭ সাল থেকে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০১১ সালে ব্যাংক ছাড়লেও পরবর্তীতে তিনি তার দুর্নীতি ফাঁস করতে দেননি। কারণ এরপর তার লোকজনই গ্রামীণ ব্যাংক চালিয়েছেন। তবে ২০২০ সালে এক অডিটে ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। আমাদের হাতে এগুলো আসে ২০২৩ সালে। আরও আসছে।’ মাসুদ আখতার বলেন, ‘ব্যক্তি ইউনূসের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। তাঁর কর্মকাণ্ড, অপকর্মের, পারিবারিক সুবিধা দিয়েছেন তা নিয়ে আমাদের অভিযোগ। ড. ইউনূস অর্থলোভী। আমাদের কোনো কিছু বানোয়াট নয়। গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। সেই পাপের ফল তিনি ভোগ করছেন।’ আইনজীবীর মাধ্যমে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে ভুল ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন জানিয়ে মাসুদ আখতার বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সৃষ্টি নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন তারা। ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে রিসার্চ প্রজেক্টের দায়িত্ব পালন করেন। পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সেই প্রজেক্ট নিয়ে যান। তখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের সৃষ্টি হয়। যার দায়িত্বে ছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে বিনিয়োগ ছিল সরকারের, তার কিছুই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (ড. ইউনূস) এমন একটা পর্যায়ে গেছেন যাকে বলা হয় প্যাথলজিক্যাল লায়ার। তিনি বলেছেন, এসবিএফ থেকে লোন নিয়েছেন। কিন্তু এসবিএফ গ্রামীণ ব্যাংকের ফান্ড। গ্রামীণ ব্যাংকের আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তিনি সেখান থেকে লোন নিয়েছেন। বিদেশি কারও কাছ থেকে নয়।’

 

সর্বশেষ খবর