বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কলকাতায় ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্ত ভাইসহ পি কে হালদার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা ১৫ মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জি ও তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জি। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত ১৫ মামলাতেই তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৯ মে উচ্চ আদালত থেকে এ ১৫ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বাসুদেব ব্যানার্জি ও পাপিয়া ব্যানার্জি। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের এমন জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে দুদক। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আগাম জামিন আদেশ স্থগিত করেন। পরে ২৩ মে দুদকের করা আবেদন নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। তখন ৪ জুনের মধ্যে বাসুদেব ব্যানার্জি ও পাপিয়া ব্যানার্জিকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

এদিকে আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, প্রয়াত মা লীলাবতী হালদারের শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদার। তারা বন্দি রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে। গতকাল কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১ বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে এ মামলাটি ওঠে। সেখানেই আদালত তাদের দুই ভাইকে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি দেন। সোমবার মায়ের অন্ত্যেষ্টির জন্য পি কে হালদার ও প্রাণেশ হালদারের হয়ে ১৫ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না।

পাল্টা জামিনের বিরোধিতা করে চার দিনের প্যারোলের দাবি জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। গতকাল ফের তার শুনানি ছিল।

এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, ‘আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্যারোলে মুক্তি পেলেও কলকাতা পুলিশ কমিশনারেট এবং বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক্তিয়ারের বাইরে বেরোতে পারবেন না। তারা সর্বক্ষণ জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে থাকবেন। ১৪ দিনের প্যারোলের মেয়াদ শেষে ১৮ জুন আদালতে এসে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।’ দীর্ঘ রোগভোগের পর ২৮ মে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় লীলাবতী দেবীর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন লীলাবতী হালদার। লীলাবতীর মরদেহ সংরক্ষণ করা আছে কলকাতার পিস ওয়ার্ল্ডে।

সর্বশেষ খবর