শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিআরটি, অনেক প্রশ্নের জবাব নেই

♦ গাজীপুরের যাত্রীদের এয়ারপোর্টে নেমে আবার বাস ধরতে হবে ♦ শত সিঁড়ি ডিঙিয়ে যেতে হবে রাস্তার মাঝের বাসস্টপে ♦ সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে সাত বছরের দুর্ভোগ

শিমুল মাহমুদ

বিআরটি, অনেক প্রশ্নের জবাব নেই

রাজধানীর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নিয়ে হতাশার গল্পই ডালপালা মেলে উঠছে। অর্ধযুগেও প্রকল্পটির কাজ শেষ না হওয়া এবং এ প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি চালুর লক্ষ্য ধরা হলেও এখনো বাস কেনার কার্যক্রম শুরু হয়নি। বিদ্যমান সড়কের মাঝখান দিয়ে বড় অংশজুড়ে বিআরটি লাইন নির্মাণের কারণে দুই পাশের সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। শত সিঁড়ি ডিঙিয়ে রাস্তার মাঝখানে নির্মিত বাসস্টপে গিয়ে টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে যাত্রীদের। অথচ রাস্তার পাশে দাঁড়ালেই সিটি পরিবহনের অন্য বাসে উঠতে পারবেন যাত্রীরা। বিদ্যমান এ সুবিধা ছেড়ে শত সিঁড়ি ভেঙে কেন বিআরটির বাসে চড়বেন- তার কোনো জবাব নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে। অন্যদিকে গাজীপুর কিংবা অন্য এলাকা থেকে যারা বাসে যাতায়াত করেন তাদের অধিকাংশেরই কাজ রাজধানীর ফার্মগেট, মতিঝিল, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন অংশে। বিমানবন্দর এলাকায় তাদের কোনো কাজ নেই। এসব যাত্রীর আবার বাস ধরে নিজেদের গন্তব্যে যেতে হবে। যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনায় নির্মিত বিআরটি প্রকল্পের পরিপূর্ণ সুফল পাওয়া যাবে না। উপরন্তু সড়কের মাঝ বরাবর বিআরটির লেন নির্মাণের কারণে দুই পাশের সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যা যানজট তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এ বাস্তবতায় ডেডিকেটেড বাস রুট হিসেবে নির্মিত বিআরটির পথে বিশেষায়িত বাসের পরিবর্তে অন্যান্য বাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।    

দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোর সমসাময়িক বড় প্রকল্পগুলোর অধিকাংশ চালু হলেও বিমানবন্দর-গাজীপুর বাস র?্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প কেবল ভোগান্তি বাড়িয়েছে উত্তরা-টঙ্গী ও গাজীপুরবাসীর। ২০১২-১৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজ শুরুর পর যানজট ও জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ, একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা, ধীরগতি, ঠিকাদারের অর্থ সংকটসহ নানা কারণে প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি ঢাকায় বিআরটি নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বাস র?্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বিআরটি করিডোর নির্মাণে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)। সব মিলিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। টঙ্গীর ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমাকে ব্যবসার কাজে প্রায়ই পল্টন যেতে হয়। আমি বিআরটির বাসে চড়ে কীভাবে পল্টন যাব। আমাকে তো এয়ারপোর্টেই বাস বদলাতে হবে। এ ভোগান্তি আমি কেন নেব। জানতে চাইলে গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, বিআরটি মূল সড়কের বড় অংশ নিয়ে নিয়েছে। বিআরটির অংশ বাদ দিলে এ সড়কে একটি করে লেন। একটি লেন দিয়ে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারবে না। যানজট থেকে কোনোভাবেই মুক্তি পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, গাজীপুর পোশাক শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। কিন্তু প্রকল্পে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কথা ভাবা হয়নি। তাঁরা সকালে কাজে যাওয়ার সময়, দুপুরে খাবারের সময় এবং রাতে বাড়ি ফেরার সময় কীভাবে রাস্তা পার হবেন সেই ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এই হাজার হাজার শ্রমিক কিন্তু বিআরটি বাসে উঠবেন না। তাঁদের হাঁটার জায়গাও বন্ধ হচ্ছে। সাধারণ মানুষও বুঝতে পারবে এর ভবিষ্যৎ খারাপ।

বিআরটির জন্য বিশেষ লেনের দুই পাশে কোনো রোড ডিভাইডার নেই। স্টেশনগুলো বিআরটি লেনের ওপর, রাস্তার মাঝখানে। উচ্চতা প্রায় ৬ মিটার। স্টেশনের দুই পাশের পিলার ফুটপাতের ওপর। স্টেশনে ওঠানামার জন্য চারটি চলন্ত ও পায়ে হাঁটার দুটি সিঁড়ি রাখা হয়েছে। সব কটি ফুটপাতের ওপর। এ জন্য স্টেশন এলাকায় ফুটপাত বন্ধ হয়ে গেছে। এসব জায়গা পার হতে পথচারীদের মূল সড়কে নামতে হচ্ছে। অন্যদিকে শতাধিক সিঁড়ি পার হয়ে ফুটপাত থেকে রাস্তার মাঝখানে গিয়ে বাসে উঠতে হবে যাত্রীদের। বাসযাত্রীরা বলেছেন, যার এয়ারপোর্ট এলাকায় কোনো কাজ নেই সে এত ঝামেলা ডিঙিয়ে ভাঙা জার্নি করার জন্য এ বাসে উঠবেন না। তবে বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক মহিরুল ইসলাম বলেছেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলতে বা শঙ্কা প্রকাশ করতে পারেন। তবে প্রকল্প চালু হলে বলা যাবে, কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিশেষায়িত বাস লেন, টঙ্গী সেতু পুনর্নির্মাণ করে ১০ লেনে উন্নীতকরণ, সাতটি ফ্লাইওভার, একটি বাস টার্মিনাল, ১১৩টি সংযোগ সড়ক, উচ্চ ক্ষমতার ড্রেনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকার সঙ্গে গাজীপুর, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকায় দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে বিআরটির মাধ্যমে। প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে ঢাকার যানজট নিরসনেও। তবে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরুর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রকল্পটির সব অবকাঠামো প্রস্তুত করতে পারেনি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এখনো প্রস্তুত হয়নি কোনো স্টেশন। বিভিন্ন স্থানে সড়ক প্রশস্তকরণসহ বিআরটি লেন নির্মাণের কাজও বাকি রয়েছে। প্রকল্পটিতে এলিভেটেড বা উড়াল অংশ রয়েছে ৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার। স্টেশন ২৫টি। এর মধ্যে ঢাকায় ৪টি ও গাজীপুর মহানগরীতে পড়েছে ২১টি। উড়ালসড়ক থাকছে ৯টি, প্রতিটি স্টেশনেই থাকবে ফুটওভারব্রিজের ব্যবস্থা। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশ।

গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, সড়কে ক্রমেই যানবাহন বাড়ছে। বিআরটি স্টেশন এলাকাগুলোতে সড়ক কিছুটা চেপে যাওয়ায় যান চলাচলে ধীরগতি দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে মানুষ ফুটপাত ব্যবহার করতে না পারলে ব্যাপক যানজট দেখা দেবে।

উল্লেখ্য, গাজীপুরে অসংখ্য কলকারখানার হাজার হাজার শ্রমিক প্রতিদিন ফুটপাত দিয়ে চলাচল করেন। গাজীপুর থেকে চলাচলকারী বলাকা পরিবহনের চালক গোলাম মোস্তফা বলেন, বিআরটির বাস চলার জন্য সড়কের মাঝে আলাদা লেন করা হয়েছে। সাধারণ যানবাহন চলাচলে দুই পাশে যে জায়গা রাখা হয়েছে, তা খুবই কম। অনেক জায়গায় ফুটপাতও নেই। ফুটপাতের প্রশস্ততা এমনিতেই অনেক কম। তার ওপর স্টেশনের পিলার, সিঁড়ির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে পুরো ফুটপাত। ২৫টি স্টেশনের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফুটপাত নিয়ে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এটিকে প্রকল্পের ‘বড় ভুল’ বলছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।

 

ঝুঁকিতে পোশাকশ্রমিকেরা : সরেজমিন দেখা যায়, ব্যস্ত সড়কে প্রচুর গাড়ি চলাচল করছে। এর মধ্যে দুপুরের খাওয়ার বিরতিতে সড়কে বের হয়েছেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার হাজারও শ্রমিক। ফুটপাত না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা যানবাহনের মধ্যে সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটছেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর গাজীপুর শাখার তথ্যমতে, গাজীপুর মহানগরে নিবন্ধিত পোশাক কারখানা আছে ৪৯২টি। এর বাইরে ছোটবড় কয়েকশ কারখানা আছে। প্রতিদিন সকালে কারখানায় যাওয়ার সময়, দুপুরে খাওয়ার বিরতি ও সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর সড়কে হাজারও শ্রমিকের ঢল নামে। শ্রমিকেরা সবাই হেঁটে চলাচল করে। তাঁদের চলাচলে প্রশস্ত ফুটপাত খুবই জরুরি। কিন্তু এ সড়কে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বিআরটি প্রকল্পেও এর বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পে শুধু বিশেষ বাস চলাচল করার কথা। বাংলাদেশের প্রথম বিআরটি প্রকল্পে বিশেষায়িত বাসের পাশাপাশি সাধারণ বাস চলাচলের সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে- এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, গাজীপুর-বিমানবন্দর করিডরে দেশের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিআরটির ত্রুটিপূর্ণ বাস্তবায়ন বা পরিচালনার কারণে যানজট বাড়বে। শিল্প অঞ্চলটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য তারা, বিআরটি করিডরে বিশেষায়িত বাস কিনে আরও অর্থের অপচয় না করে সাধারণ বাস চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এটা হলে ওই সড়কে নির্বিঘ্নে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। প্রকল্পে অর্থের অপচয় হলেও নতুন ভোগান্তি বাড়বে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বের প্রায় ২০০টি শহরে বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটা খুব সহজ ও সাশ্রয়ী প্রকল্প। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়িত এসব প্রকল্প সমতল সড়কে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গাজীপুর-বিমানবন্দর সড়কে অপ্রয়োজনীয় ফ্লাইওভার নির্মাণ করে প্রকল্পের খরচ কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে।

প্রকল্পের রুট : বিআরটির ২৫টি স্টেশন হচ্ছে, বিমানবন্দর টার্মিনাল, জসীমউদ্দীন সরণি, আজমপুর, হাউস বিল্ডিং, আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী ব্রিজ, স্টেশন রোড, মিল গেট, চেরাগ আলী মার্কেট, টঙ্গী কলেজ, হোসেন মার্কেট (এরশাদ নগর), গাজীপুরা, তারগাছ, বড়বাড়ী বাজার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বোর্ডবাজার, হাজীর পুকুর, মালেকেরবাড়ী, ভোগরা দক্ষিণ, ভোগরা উত্তর, চৌরাস্তা, বিআরটিসি ডিপো, আড়ং মিল্ক ফ্যাক্টরি, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং গাজীপুর টার্মিনাল।

যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, বিআরটির পূর্বশর্তই হলো যাত্রী বা পথচারীদের চলাচলে চওড়া ফুটপাত। এখানে উল্টো ফুটপাত বন্ধ করে স্টেশন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সমস্যা আরও বেড়ে গেল। হাজার হাজার মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হলো। তিনি বলেন, বিআরটি প্রকল্পের জন্য বাস না কিনলে আমি খুশি হব। কেননা এ টাকা গচ্চা যাবে। বিআরটি প্রকল্প যেভাবে পরিচালনা করার কথা, সেভাবে পরিচালনা না হলে এখানে যানজট বাড়বে। গাজীপুর-বিমানবন্দর করিডরের বিআরটি খন্ডিত ও ক্রটিপূর্ণ, এ করিডরের জন্য বিশেষায়িত বাস না কিনে সাধারণ বাস চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেই বরং ভালো হবে।

ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, গাজীপুর-বিমানবন্দর করিডরে বিআরটি প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো নদী, খাল না থাকার পরও ফ্লাইওভার তৈরি করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিআরটি সহজ কাজ হলেও ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্পটিকে জটিল করা হয়েছে। এ করিডরে অন্যান্য বাসের সঙ্গে বিশেষায়িত বাস চালালে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ, নতুন বাস না কিনে ওই রুটকে ‘ঢাকা নগর পরিবহনের’ সঙ্গে সমন্বয় পরিচালনা করলে সরকারের অর্থের অপচয় রোধ হবে। নইলে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এ করিডরে যানজট লাঘবের পরিবর্তে বাড়বে।

সর্বশেষ খবর