শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোটরসাইকেল আটকের পর ঘুষ দাবি করে না পেয়ে ফেনসিডিল মামলায় এক যুবককে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই যুবক দুই এসআইয়ের নামে আদালতে মামলা করেছেন। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গতকাল বেলা ১১টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ওই যুবক বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোত কাদিপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে রুহেল ইসলাম রয়েল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রয়েল জানান, গত ১৪ মে সকাল আনুমানিক ১০টা-১১টার দিকে বাঘা থানার এসআই নুরুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ সজলসহ আরও একজন তার বাড়ির গেটের সামনে উপস্থিত হয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার ব্যবহৃত লাল রঙের মোটরসাইকেলটি বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় বলে যান দেড় লাখ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে আসতে। রয়েল বলেন, ‘আমি পেশায় একজন কৃষক। ওই পুলিশ সদস্যরা ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে আমাকে বলেন, যেহেতু তোমার বাড়ি বর্ডারে, তুমি আমাদের ওই এলাকায় কখন কীভাবে অবৈধ মাদকের চোরাচালান হয় তথ্য দেবে এবং গ্রেফতারে সহায়তা করলে তোমাকে পুরস্কৃত করব। আমি তাদের কথায় রাজি না হলে তারা আমাকে হয়রানি করতে শুরু করেন। আমি ১৫ মে একটি অভিযোগ বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর দিতে গেলে তিনি গ্রহণ করেননি এবং পুলিশ সদস্যরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে বের করে দেন।’

ওসির কাছ থেকে প্রতিকার না পেয়ে ওই দুই এসআই ও বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নামে ২৯ মে বাঘা উপজেলা আমলি আদালতে মামলা করেন রয়েল। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এর পরই তার নামে মাদকের মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েলের। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, রয়েল হোসেন রুহেল একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। ইতঃপূর্বেও তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আরও দুটি মামলা আছে তার নামে। দীর্ঘদিন ধরে সে মাদকের কারবার করে আসছে। এবার মাদক চোরাচালানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশের নামে আদালতে রয়েল কোনো মামলা করেছে কি না, তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর