ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে আরও অনেকেই গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, আমরা সত্যের কাছাকাছি এসে গেছি। মৃতদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আনার নিরুদ্দেশ হওয়ার পরই দুটি মামলা হয়েছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে একটি মামলা হয়েছে। আর সংসদ সদস্যের মেয়ে ঢাকায় একটি মামলা করেছেন। কাজেই এ ঘটনায় দুই দেশই সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। তাদের (ভারত) দেশে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে, তাদের আসামিকে ফেরত নেওয়া, বন্দি করার দায়িত্ব তাদের। আমি যতটুকু জানি, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। সে ক্ষেত্রে হয়তো সেই সুবিধা ভারত সরকার পাবে। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। তবে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সব কাজেই তারা সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতে করবে। এমপি আনারের পদ নিয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি কবে নাগাদ স্পিকারকে বিষয়টি জানাবেন যে তারা শনাক্ত করতে পেরেছেন কোনটি আনারের মৃতদেহ। সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সংগত কারণেই এটা আসবে। আমাদের একটা প্রমাণ লাগবে যে, এ খণ্ডবিখণ্ড মাংসগুলো তার। ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মেয়ের সঙ্গে যদি মিলে যায়, তাহলে ভারত সরকার আমাদের জানাবে, তখনই আমরা বলতে পারব। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মৃতদেহ নিশ্চিত হওয়ার জন্য যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবানবন্দি শুনেছি। তারা বলেছে, মৃতদেহ তারা খণ্ডবিখণ্ড করেছে। কোথায় রেখেছে, সেটা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ সাঈদ ও তানভীর ভূঁইয়া ওরফে ফয়সাল আলী সাজীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালতে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। গত ২৩ মে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা তিনজনই আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন।