মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কথা কাটাকাটি হাতাহাতি তারপর কোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর আজাহার ওরফে আজাদ (৩৩) বড় ভাই শাজাহানের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। থানা পুলিশকে জানানোর তিন দিন পর ১৭ ডিসেম্বর খবর আসে আমিনবাজার হিজলা তুরাগ নদের পূর্বপাশে একটি লাশ ভাসছে। লাশটি উদ্ধারের পর তা আজাদের বলে শনাক্ত করেন বড় ভাই শাজাহান। পরে তিনি সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।

পিবিআই জানায়, ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ডাকাত দলের সদস্যের হাতেই খুন হন আজাদ। কথা কাটাকাটি হাতাহাতির পর কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার মজিবর আকন ওরফে টেক্কা (৪৯) ও তার অন্য দুই সহযোগী রুহুল আমিন লেদু (৪৩) ও সামিম হোসেন (৩৩)। একই দলেন সক্রিয় সদস্য ছিলেন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কাঁচির আঘাতে নির্মমভাবে খুন করা হয়। পরে তার লাশ গুম করতে ফেলা হয় তুরাগ নদে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা। তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পিবিআই ঢাকা জেলার একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছয় বছর আগের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে। ঘটনায় জড়িত মজিবর আকন ওরফে টেক্কাকে গাজীপুরের পূবাইল মাজুখান বাগেরটেক এলাকায় তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে সামিম হোসেনকে রাজধানীর শাহআলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা সাভার এবং আশুলিয়ায় তুরাগ নদে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। ঘটনার দিন রাত ১১টায় সবাই ডাকাতির উদ্দেশ্যে ট্রলারে তুরাগ নদের গাবতলী ঘাট থেকে আশুলিয়ার উদ্দেশে রওনা করে। কিছুদূর যাওয়ার পর আজাদের সঙ্গে ডাকাত সর্দার মজিবর আকন ওরফে টেক্কা ও তার প্রধান সহযোগী রুহুল আমিন ওরফে লেদুর পূর্বের ডাকাতির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে লেদু ধারালো বড় কাঁচি দিয়ে পেছন থেকে আজাদের মাথায় পরপর তিনটি কোপ দেয়। পরে মজিবরও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

সর্বশেষ খবর