বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

চা পান করে লাল্টুর গরু

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

চা পান করে লাল্টুর গরু

প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে দোকানে এসে লাল চা পান করে লাল্টুর একটি গাভি। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও, গত চার বছরের নিত্যদিনের ঘটনা এটি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৬২ নম্বর আড়িয়া গ্রামের চা দোকানি লাল্টু শেখের একটি লাল রঙের গাভি মাঠ থেকে ফেরার পথে চা পান করতে তার দোকানে আসে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। চা দোকানি লাল্টু বলেন, সকালে অন্য গরুর সঙ্গেই মাঠে চরতে যায় লাল রঙের গাভিটি। সারাদিন মাঠে চরা শেষে গরুর পাল বাড়ি ফিরলেও লাল গাভিটি এসে দাঁড়ায় তার দোকানে। চেষ্টা করে নানাভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের। তারপর এক কাপ লাল চা দিলে মানুষের মতোই চুমুক দেয় সে। শুরুতে বিস্কুট-পাউরুটি খেলেও একসময় শখ করে চা পান করানো হয়। সেই শুরু। প্রায় চার বছর ধরে গরুটি নিয়মিত চা পান করছে। কোনো কারণে তার দোকান বন্ধ থাকলে সন্ধ্যায় গ্রামের অন্য দোকানে নিয়ে তাকে চা খাওয়াতে হয়। গ্রামবাসী বলেন, লাল্টুর গরুর চা পানের বিষয়টি এখন অনেকেই জানে। অনেকে গরুটি দেখতেও আসে। গ্রামের মানুষের কাছেও গরুর কারণে লাল্টুর আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে। গরুটির এমন আশ্চর্য আচরণ এলাকাবাসীও উপভোগ করে। গ্রামবাসী বলেন, আগে লাল্টুর দোকান বন্ধ থাকলে বা চা দিতে দেরি হলে গরুটি শিং দিয়ে চায়ের চুলায় গুঁতো দিতো। এখন কোনো কারণে দোকান বন্ধ করলে গ্রামের অন্য দোকানে নিয়ে গরুটিকে একটি লাল চা খাওয়াতে হয়। চা খাওয়া শেষ হলে গরুটি একাই বাড়ির ভিতরে চলে যায়। তারপর গোয়ালে নিজের থাকার জায়গায় অবস্থান করে। লাল্টু শেখের কাছে চা পান করা গরুটি দিনে দিনে সন্তানের মতো হয়ে উঠেছে। তিনি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুরগির ব্যবসা করেন। বিকাল হলেই প্রিয় গরুটির জন্য নিয়মিত চায়ের দোকান খুলতে হয়। স্থানীয়দের মতে, লাল্টুর গরুটির এমন আশ্চর্য আচরণে ৬২ আড়িয়া গ্রামের আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই লাল চা খাওয়া গরুটি দেখতে গ্রামে আসে। লাল্টুকেও অনেকে চা খাওয়া গরুর মালিক বলে চেনে।

সর্বশেষ খবর