শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

জয়ে সুপার এইটের পথে

নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারাল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জয়ে সুপার এইটের পথে

মাত্র ২৩ রানে দুই উইকেট হারানোর পর সাকিব ও তানজিদের ৩২ বলে ৪৮ রানের জুটিতেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ

সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন নিয়ে সেন্ট ভিনসেন্টের আরনেস ভেলে নেমেছিল বাংলাদেশ। একই স্বপ্ন ছিল নেদারল্যান্ডসেরও। ক্যারিবীয় সাগরের ছোট্ট দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার ম্যাচটিকে স্মরণীয় করেছে বাংলাদেশ। চিরস্মরণীয় করেছেন সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেনরা। ব্যাটিংয়ে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব। লেগ স্পিনার রিশাদ ও মুস্তাফিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশ ২৫ রানের প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে। এ জয়ে বাংলাদেশ সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বলাই যায়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে ৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয় দুইয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। রানরেট ০.৪৭৮। দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৬, রানরেট ০.৬০৩। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্টে।            

টসের আগে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। যদিও বৃষ্টি বাধা হতে পারেনি ম্যাচে। যখন বৃষ্টি ঝরছিল, তখন ডাগ আউট বসে গলায় স্পন্ডলাইসিসের গলাবন্ধনী পরেছিলেন সাকিব। তখন মনে হয়েছিল, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেভিওয়েট ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। কিন্তু না, সাকিব খেলেছেন। সেন্ট ভিনসেন্টের আরনেস ভেলে ১০ বছর আন্তর্জাতিক ফেরার ম্যাচে বাংলাদেশ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করেন। বাংলাদেশকে এই রান করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। বিশ্বসেরা অধিনায়ক গতকাল পাহাড়সমান চাপ নিয়ে যেভাবে ব্যাটিং করেন, তাতে আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করেন। সাকিব ২০ ইনিংস পর হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। ৪ নম্বর পজিশনে ৬৪ রানের অপরাজিত ব্যাটিং করেন মাত্র ৪৬ বলে ৯ চারে। ১২৫ টি-২০ ক্যারিয়ারে এটা সাকিবের ১৩তম হাফসেঞ্চুরি। ৩৭ বছর বয়সি সাবেক অধিনায়ক সর্বশেষ হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর। ২০ মাস আগে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৮ রান করেছিরেন ৪২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। সাকিবের দৃঢ়তায় ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৪ রান করে বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ৩ উইকেটে ৭৬ । পরের ১০ ওভারে ৮৩ রান করে টাইগাররা। ব্যর্থ নাজমুল ও লিটন দাস। বাঁ হাতি ওপেনার তানজিদ তামিম ৩৫ রান করেন ২৬ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে। মাহমুদুল্লাহ ৩৫ রান করেন ২১ বলে। টার্গেট ১৬০ রান। ওভারপ্রতি ৮ রানের টার্গেটে ভালো জবাব দিচ্ছিল আইসিসি সহযোগী দেশটি। কিন্তু তানজিম সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও রিশাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পেড়ে ওঠেনি ডাচরা। বিশেষ করে ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ ও লেগ স্পিনার রিশাদকে সাবলীল খেলতে পারেননি স্কট এডওয়ার্ডস, সাইব্রান্ড এনজেলব্রেখট, মিচের লেভিট, ম্যাক্স ও ডডদের।

এক পর্যায়ে অবশ্য এডওয়ার্ডস ও এনজেলব্রেখট দারুণ খেলে নেদারল্যান্ডসের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

 কিন্তু রিশাদের স্পেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে ইউরোপীয় দেশটি। শেষ পর্যন্ত দলটি ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করে। রিশাদ ৪ ওভারের স্পেলে ৩৩ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। দুর্ভাগ্য সাকিবের। দারুণ ব্যাটিং করলেও বোলিংয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। সাকিবের স্পেল ছিল ৪-০-২৯-০। দারুণ মিতব্যয়ী ছিলেন মুস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের স্পেল ৪-০-১২-১। কমলাবাহিনীর ইনিংসের শেষ বলে উইকেট নেন তাসকিন। তার স্পেল ৪-০-৩০-২। তানজিম সাকিবের ৩-০-২৩-১ ও মাহমুুদুল্লাহর স্পেল ১-০-৬-১।               

সর্বশেষ খবর