শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইউনিসেফের প্রতিবেদন

১০ শিশুর ৯ জনই শিকার পারিবারিক সহিংসতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি মাসে দেশে ১ থেকে ১৪ বছর বয়সি প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে ৯ জনই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। যা প্রতি মাসে সাড়ে ৪ কোটি শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশু সুরক্ষায় অগ্রগতি সত্ত্বেও সহিংসতা, নিপীড়ন ও শোষণ-বঞ্চনার কারণে লাখ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক খেলাধুলা দিবসে (১১ জুন) শিশুদের সহিংসতার শিকার হওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছে। গতকাল ইউনিসেফের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। ইউনিসেফ বলছে, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য সহিংসতামুক্ত বিশ্ব নিশ্চিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও বাবা-মাকে সম্পৃক্ত করে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার ও ইউনিসেফ। ইউনিসেফের তথ্যে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪০ কোটি শিশু বা প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে ৬ জন শিশু নিয়মিত বাসায় শারীরিক আঘাত বা শারীরিক শাস্তি সহ্য করে। বাসা-বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তাদের উদ্দীপনা দেওয়াসহ সার্বিক সেবাযতেœ ঘাটতির চিত্র ফুটে উঠেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাবা-মা, সেবাদাতা ও শিশু সবার মানসিক স্বাস্থ্য এবং শিশুদের বিকাশের জন্য খেলাধুলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় (এমওডব্লিউসিএ) এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের (এমওওয়াইএস) এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ইউনিসেফ পরিবার, কমিউনিটি এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীসহ সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য একটি সহিংসতামুক্ত ও সুরক্ষামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, প্রতিটি শিশুর একটি নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের অংশীদারি এবং কমিউনিটি নেতৃত্বাধীন কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে আমরা পরিবারকে শক্তিশালী করার জন্য বিনিয়োগের মাধ্যমে সহিংসতা এবং ক্ষতিকারক অনুশীলন থেকে ১৬ লাখেরও বেশি শিশু ও নারীকে সুরক্ষা প্রদান করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর