শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মোংলা বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী ভারত

চায় পরিচালনার দায়িত্বও

শাহেদ আলী ইরশাদ

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায় বিনিয়োগের পাশাপাশি পরিচালনা করতে চায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড। যদিও বর্তমানে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় পণ্য সরবরাহ করতে কার্গো পরিবহনের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভোগ করছে ভারত।

জানা গেছে, ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার কয়েক দিন আগে গত মাসে ভারতের বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল মুকুন্দনের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল মোংলা বন্দর পরিদর্শন করেন। এ সময় আইপিজিএলের উচ্চপদস্থ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বন্দরের জেটি ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পরিদর্শন শেষে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বন্দরের কার্যক্রমের একটি সারাংশ উপস্থাপন করা হয়। যোগাযোগ করা হলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল বন্দরের সক্ষমতা, সুবিধা, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, ইয়ার্ড ও জেটি পরিদর্শন করেছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এখনো আইপিজিএল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব পায়নি। এ বিষয়ে আইপিজিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল মুকুন্দন গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুই দেশের সরকার যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিলেই পরিকল্পনাটি এগিয়ে যেতে পারে। ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি বন্দর পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু একটি সরকার টু সরকারের এটি বিষয়। মোংলা সমুদ্রবন্দরে বর্তমানে পাঁচটি জেটি রয়েছে যেখানে কনটেইনার ও বাল্ক-ক্যারিয়ার জাহাজ উভয়ই পরিচালনা করা হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর বন্দর ব্যবহারে জাহাজের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় বন্দরের ক্ষমতা বাড়াতে আরও দুটি জেটি নির্মাণাধীন রয়েছে। রাজধানীর সঙ্গে মোংলা বন্দরের দূরত্ব কমিয়ে আনার পাশাপাশি দ্রুত এবং সস্তায় পণ্য ও কনটেইনার পরিবহনের সুবিধার্থে শিগগিরই রেলপথ চালু হবে। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে সাত অঙ্গরাজ্যে কার্গো পরিবহনের জন্য ভারতকে স্থায়ী ট্রানজিট এবং ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ। মোংলা বন্দরটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই টার্মিনাল নির্মাণসহ উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের জন্য অর্থায়নে এগিয়ে এসেছে। জানা গেছে, সরকার বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য বন্দর অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে বন্দর খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে নবনির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে সৌদি আরবের জেদ্দাভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি)-কে। চলতি মাসেই কার্যক্রম শুরু করেছে আরএসজিটি।

সর্বশেষ খবর