কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরসপুর ইউনিয়নের বাতাবাড়িয়া গ্রামে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় আবদুল মালেক (৭০) নামে এক বৃদ্ধের পেটে গুলি চালায় ডাকাতরা। এ ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। হাসপাতালের পথে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধের ছেলে ওমর ফারুক (৪০)। পথে রিকশা উল্টে যায় তার। এ সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান কবির বলেন, ঘটনাটি মনোহরগঞ্জ এবং চাটখিল থানার সীমান্তবর্তী হওয়ায় উভয় থানার পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। গুলি ও ডাকাতির ঘটনার সময় চারজন ডাকাত উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আবদুল মালেকের ভাতিজা মো. শাহাদাত হোসেন অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মালেকের বাড়ির সামনে চায়ের দোকান। বৃহস্পতিবার তিনি দোকান খুলে বসেন। একটু পরে তার স্ত্রী শহিদা বেগম আসেন চা খেতে। এরই মধ্যে দুটি মোটরসাইকেলযোগে চারজন ডাকাত ক্রেতা সেজে দোকানে প্রবেশ করে। ডাকাতরা পিস্তল বের করে তার স্ত্রী শহিদা বেগমের গলায় থাকা সোনার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। মালেক তাদেরকে বাধা দিলে গুলি করে পালিয়ে যায়। আবদুল মালেকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নাথেরপেটুয়া থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওমর ফারুকের মা শহিদা বেগম বলেন, আমার ছেলেটিও মারা গেল। তার রেখে যাওয়া তিন ছেলে ও এক মেয়ে এখন কাকে বাবা বলে ডাকবে? আর আমিও কী নিয়ে বাঁচব?