শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

উচ্ছেদ সিদ্ধান্তে হরিজনদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের অঙ্গসংগঠন যুব ঐক্য পরিষদ ও ছাত্র ঐক্য পরিষদ এর আয়োজন করে। এতে হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী অংশ নেন। এ ছাড়া হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরাও স্কুল ড্রেস পরে জাতীয় পতাকা হাতে অংশ নেয়। সমাবেশ শেষে দুপুর পৌনে ১টার দিকে তারা স্মারকলিপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ  বাধা দেয়। এর আগে শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, হরিজন সম্প্রদায়ের সিংহভাগ বাসিন্দা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করেন। তাই তাদের অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে চান না। ৪০০ বছর ধরে তারা মিরনজিল্লায় বসবাস করে এলেও এখন তাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা চলছে। পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান তাঁরা।

বক্তারা আরও বলেন, সরকারের সম্পত্তিই জনগণের সম্পত্তি। হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যদের অধিকার নিশ্চিত না করে তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা।

যুব ঐক্য পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাজেশ বাসফোরের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার রায়, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী সভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।

পুরান ঢাকার বংশালের আগা সাদেক রোডের পাশে মিরনজিল্লা কলোনিতে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে আসছেন। মিরনজিল্লার একটি অংশে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এজন্য সেখানকার স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ১১ জুন গিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তাঁরা হরিজন সম্প্রদায়ের তীব্র আপত্তি ও বাধার মুখে পড়েন। পরে একটি দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে চলে যান। এরপর এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট তাদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার ওপর ৩০ দিনের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ সূত্র বলছেন, মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিতে করপোরেশনের প্রায় ৩ দশমিক ২৭ একর জমি আছে। কলোনির এক পাশে ২৭ শতাংশ জমিতে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে হলে সেখানকার কিছু বাসাবাড়ি ভেঙে দিতে হবে। আগে বিদ্যমান কাঁচাবাজারটি ১৭ শতাংশ জমিতে ছিল। বাকি জমি থেকে স্থাপনা সরাতে এ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর