শিরোনাম
রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ পাহাড়ে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ পাহাড়ে

পাহাড়ে প্রথমবারের মতো মাচা পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষক আবদুর রব। তরমুজের মৌসুম না হলেও এই অ-সময়ে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে মিষ্টি রসালো এই ফল। যেন ছিড়ে না পরে সে জন্য নেটের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে, ব্ল্যাক বেবি জাতের গ্রীষ্মকালীন সুমিষ্ট এই ফল। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার চরপাড়া গ্রামে। এই তরমুজ চাষে সার, বীজ, মাচা ও নেটসহ প্রতি বিঘা চাষ করতে খরচ হয় প্রায় পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ফলনে লাভ পাওয়া যায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। কৃষক আ. রব বাণিজ্যিকভাবে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ আবাদ করে লাভ পেয়েছেন। তাকে দেখে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।  কৃষক আ. রব জানান, আমি প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ (ব্ল্যাক বেবি) চাষ করেছি। এখানে আমার ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার টাকা। যে পরিমাণে ফলন হয়েছে আশা করি ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। আমার তরমুজ চাষ দেখে স্থানীয় কৃষকরা তরমুজ চাষে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছে। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, প্রথমবারের মতো আইডিএফের মাধ্যমে ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক আ. রব। মাটিরাঙ্গা কৃষি অফিসের মাধ্যমে অন্যান্য কৃষকদের প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে এ তরমুজ চাষ ব্যাপকভাবে করতে পারলে কৃষকরাও লাভবান হবে। একইভাবে এভাবে গ্রীষ্মকালীন সময়েও আমরা তরমুজের স্বাদ পেতে পারব। সুমিষ্ট এ তরমুজ চাষে কৃষকদের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা করছেন ইন্ট্রিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)। কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আইডিএফের পক্ষ থেকে বীজসহ টেকনিক্যাল ও আর্থিকভাবে সহায়তা করছি। ভবিষ্যতে কৃষকরা এ জাতের তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী থাকলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সবুজ আলী বলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় প্রথম ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। পরিক্ষামূলক ভাবে দেখেছি যে এ জাতের ফলন খুব ভালো হয়, কৃষক ও লাভবান হবেন। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানসহ সাপোর্ট দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর