রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
যাত্রাবাড়ীতে জোড়া খুন

বিরোধ সামনে রেখে শনাক্তের চেষ্টা খুনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগের নিজ বাসায় পুলিশ কর্মকর্তার বাবা-মাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধ সংশ্লিষ্টদের সন্দেহে রেখে তদন্ত চলছে। এ ছাড়াও জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত দম্পতির পরিবারের সদস্য ও বাড়ির ভাড়াটিয়াদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ বাসায় শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনকে (৫০) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন রাতেই নিহত দম্পতির ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকান্ডে বাড়ির আশপাশের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে খুনিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তাই হত্যার আগে খুনিরা একাধিকবার ঘটনাস্থল রেকি করেছে। এ ছাড়া শফিকুরের বাড়িতে খুনিদের আসা-যাওয়া ছিল। কেননা খুনিরা হত্যাকান্ডের আগে ও পরে বাড়ির পেছনের একটি নির্মাণাধীন ভবন ব্যবহার করে।

সূত্র জানায়, নিহত শফিকুরের চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে তার জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে পরপর চারটি মামলা করেছিল ওই পরিবার। এখনো দুটি মামলার তদন্ত চলমান। এ সংক্রান্ত বিরোধ ছাড়া শফিকুর ও তার স্ত্রীর সঙ্গে আর কারও কোনো শত্রুতা আছে কি না সেটাও খুঁজে দেখা হচ্ছে। ফলে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে গুরুত্ব দিয়ে খুনিদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ওই ভবনের অন্য বাসিন্দাদের সন্দেহে রেখে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও অন্যান্য সবকিছু বিশ্লেষণ এবং যাচাই-বাছাই চলছে। মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, খুনিরা ঠান্ডা মাথায় ও দীর্ঘ পরিকল্পনা করে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। খুনিরা তাদের সবকিছুই জানে। তবে ঢাকায় তাদের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। শুধু গ্রামের বাড়িতে জমি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে বিরোধ আছে।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, শফিকুর দম্পতি হত্যাকান্ডে এখনো খুনিদের শনাক্ত করা যায়নি। সম্ভাব্য নানা বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর