দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আবাসিক কোয়াটার বেলি-১, হাসনা হেনা-১ ও আনসার ব্যারাকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দুই বছর। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা। এ সময় ইউএনওর নির্দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে আনসার সদস্যরা। ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীর অভিযোগ ইউএনও স্যারের নির্দেশেই তাকে বেঁধে রাখা হয়। তার দাবি, আমরা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি উপস্থিত আনসার সদস্যদের জানালে তারা ইউএনও স্যারকে ফোন করে জানান। এরপর ইউএনও স্যার আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানতে চান কার নির্দেশে আমরা ওখানে গিয়েছি। এরপর আমাদের এজিএম স্যারের কথা জানিয়ে আনসার সদস্যদের মোবাইলটি দিয়ে দেই। তখন আনসার সদস্যরা আমাকে বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। ১৫-২০ মিনিট পর আমাকে ছেড়ে দেয়।

ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবন সংলগ্ন আনসার ব্যারাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। তার ভাষ্য, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। এসবের কিছুই তিনি জানেন না।

দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের আবাসিক কোয়াটার বেলি-১, হাসনা হেনা-১ ও আনসার ব্যারাকের বিদ্যুৎ বিল গত দুই বছর ধরে বকেয়া রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম মো. শেখ ফরিদের নির্দেশে টেকনিশিয়ান ইকবাল হোসেনসহ দুজন বকেয়া বিলের জন্য ঘটনাস্থলে যান। এ সময় দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে ইকবাল এজিএম স্যারকে বিষয়টি জানায়। পরে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন।  দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম মো. শেখ ফরিদ বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বিষয়টি সমঝোতার জন্য আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। তাই আমরা আপাতত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীকে বেঁধে রাখার ঘটনায় তিন আনসার সদস্য জড়িত থাকায় তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে এবং বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ইয়াহিয়া সিদ্দিকও বলেন, বেঁধে রাখার বিষয়টি দুঃখজনক। তবে বিষয়টি সমঝোতা হয়ে গেছে, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই।