রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মারামারি মামলায় খালাসে ৩৬ বছর!

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে দা-বঁটি দিয়ে মারামারির মামলায় দন্ড নিয়ে রিভিশন (আপিল) নিষ্পত্তি করেছে হাই কোর্ট। রায়ে নিম্ন আদালতে দন্ডিত এক আপিলকারীকে ছয় মাসের দন্ড থেকে রেহাই দিয়েছেন উচ্চ আদালত। তবে হাই কোর্ট পর্যন্ত এ মামলার নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছে প্রায় ৩৬ বছর। ২০২৩ সালের ৯ মার্চ রায়টি দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ। সম্প্রতি এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা  হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ২২ নভেম্বর মিরসরাইয়ে পুকুরের মালিকানা নিয়ে একটি সালিশি বৈঠকে দা-বঁটি ও ছুরি দিয়ে হামলার ঘটনায় মামলা হয়। এ মামলায় একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। মামলার বিচার শেষে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৮৯ সালের ৪ এপ্রিল ফয়েজ আহমেদকে ছয় মাসের ও নিজাম উদ্দিন ওরফে জসিম উদ্দিনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিলের পর চট্টগ্রামের বিশেষ দায়রা জজ আদালত ২০০৬ সালের ১ মার্চ আপিল নামঞ্জুর করেন। এরপর ফয়েজ হাই কোর্টে রিভিশন দায়ের করেন। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাই কোর্ট। রায়ে রিভিশন হাই কোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বাতিল করেন। আসামি ফয়েজ আহমেদকে দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে খালাস দেন। রায়ে আদালত বলেন, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি করেছে আপিলকারী ফয়েজ আহমেদ। অপরটি তার বিরুদ্ধে। ফয়েজ আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার এক নম্বর সাক্ষী শোনা সাক্ষী। দুই নম্বর ও তিন নম্বর সাক্ষীর বিরুদ্ধে ফয়েজ আহমেদ মামলা করেছে। চার নম্বর সাক্ষী ডাক্তার। ৫ নম্বর সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষী নেই। প্রসিকিউশন পক্ষ কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ ব্যতীত প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর