সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
খুনোখুনি বর্বরতা

ট্রাংকে কিশোরের রক্তাক্ত লাশ

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে মাদক সেবন নিয়ে বিরোধের জেরে তপু হোসেন (১৪) নামে এক কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টায় উপজেলার সরকারি কলেজের পাশে মশুরিয়াপাড়া এলাকার অরণ্য ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার ৩০৫ নম্বর রুম থেকে নিখোঁজের সাত দিন পর তপুর ট্রাংকবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত ১৫ জুন ওই কিশোরকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় পরদিন ১৬ জুন তাকে নিখোঁজ উল্লেখ করে নিহতের মা (মজিরন বেগম) ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ঈদের পর ছাত্রাবাসের ছাত্ররা রুমে আসে। এ সময় প্রচ- গন্ধ আসায় তার উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা তৃতীয় তলার মেঝেতে রক্ত ও ৩০৫ নম্বর রুমে একটি ট্রাংক দেখতে পায়। পরে ছাত্রাবাসের মালিককে ডেকে পুলিশে খবর দেয়। এরপরই পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি, পিবিআই ও পাবনা জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিখোঁজ তপুকে ট্রাংকবন্দি অবস্থায় দেখতে পান। নিহত তপু ওই এলাকার রিকশাচালক আবুল কাশেমের ছেলে। ঈদের দুই দিন আগে মাদক সেবন নিয়ে তপুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্থানীয় কয়েক যুবকের। পরে তারা কৌশলে ডেকে নিয়ে তপুকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ ট্রাংকবন্দি করে ওই ছাত্রাবাসের ৩০৫ নম্বর রুমের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়। এর আগে নিখোঁজের পরদিন হত্যাকারীরা তপুর বাবার মুঠোফোনে কল দিয়ে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। নিহতের বাবা ১০ হাজার টাকা বিকাশে দিয়ে দেন। বিকাশে টাকা আদানপ্রদানের সূত্র ধরেই পুলিশ আলিফ হোসেন ও মনিরুজ্জামানসহ তিন সন্দেহভাজনকে আটক করে।

অরণ্য ছাত্রাবাসের ৩০৪ নম্বর কক্ষে থাকা ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ জানান, ঈদের ছুটিতে ১১ জুন বাড়িতে চলে যায় সে। শনিবার দুপুরে ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষে ফেরে। উৎকট গন্ধ পাওয়ায় তারা বিষয়টি ছাত্রাবাস মালিককে জানায়। ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তপুর বাবা হত্যা মামলা করেছেন। এর আগে নিহতের মা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি তারা স্বীকার করেছে।

সর্বশেষ খবর