ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাইম (১০) নামে এক শিশুর জিহ্বা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে শিশুটি জিহ্বা ও ঠোঁটে ৮/১০টি সেলাই নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত সাইম নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে। এর আগে শুক্রবার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে পৌর শহরের আমিনপুর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত কাউসারকে আটক করেছে।
আহত শিশুর পরিবার জানায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে সাইমের বাবা মালেক মিয়ার সঙ্গে পাশের বাড়ির কাউসার মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে কাউসার মিয়া বিরোধপূর্ণ জমির সীমানা খুঁটি তুলে আরেক স্থানে বসিয়ে দেন। ঘটনাটি শিশু সাইম দেখে ফেললে বাড়িতে গিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর বিষয়টি জানতে পেরে সাইমকে খুঁজতে থাকে কাউসার। একপর্যায়ে সাইম বাড়ি থেকে বের হলে তার ওপর দা-লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় কাউসার মিয়া এবং তার লোকজন। সাইমকে বেদম প্রহারের একপর্যায়ে তার জিহ্বায় ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে ঠোঁটের কিছু কেটে ফেলে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন স্বজনরা। আহতের মা পারভীন বেগম বলেন, আমার ছেলের জিহ্বা ও ঠোঁট কেটে দেওয়া হয়েছে। চার দিন হলো তাকে কিছু খাওয়াতে পারছি না। এ ধরনের বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না। আমি ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঢালী বলেন, শিশুটির জিহ্বা ও ঠোঁটে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়াই তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার জিহ্বায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে। পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাইম নামে এক শিশু আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জিহ্বার একটি অংশ কেটে যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানতে পেরেছি। অভিযুক্ত কাউসারকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
