সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
রাসেলস ভাইপার নিয়ে যত কাণ্ড

আতঙ্ক রাজশাহীর চরাঞ্চলে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর চরাঞ্চলে বেড়েছে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক। নদনদী ও খাল-বিলের পানি বাড়ার কারণে মৎস্য ও কৃষিজীবী মানুষ রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে আছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয়রা বিষধর এ সাপকে পিটিয়ে মেরেছে। রাসেলস ভাইপার সাপের ছোবলের শিকার হয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির পর থেকে চর এলাকার মানুষ বেশি আতঙ্কে আছেন।

জানা গেছে, গতকাল দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামে দেখা মেলে রাসেলস ভাইপার সাপের ৮টি বাচ্চার। স্থানীয়রা সাপের বাচ্চাগুলোকে মেরে ফেলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাঘা উপজেলার পলাশী ফতেপুর পদ্মার চরে একটি রাসেলস ভাইপারকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। কয়েকদিনে তানোর, গোদাগাড়ী, চারঘাটেও এ সাপ মারা হয়েছে। ৩১ মে ধানখেতে কাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার কামড় দেয় চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের কৃষক হেফজুল আলীকে (৪৫)। তিনি সাপটি ধরে হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা নিতে। বাঘা উপজেলার পলাশী ফতেপুর চরের জনি আহমেদ বলেন, শুক্রবার সকালে পলাশী ফতেপুর পদ্মা নদী থেকে জাল তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সামনে রাসেলস ভাইপার দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। পরে তার চিৎকারে কয়েকজন এগিয়ে এসে রাসেলস ভাইপার সাপটিকে পিটিয়ে মারা হয়। পাঁচ দিন আগেও এর পাশে আরেকটি রাসেলস ভাইপার মারা হয়েছে। দুই দিন থেকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে রাসেলস ভাইপারের বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে বাঘা, গোদাগাড়ী, চারঘাট উপজেলা এলাকায় পদ্মায় এসেছে নতুন পানি। ফলে এসব উপজেলার সীমান্ত এলাকার লোকজনের মধ্যে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরের প্রায় ৩ হাজার পরিবারের ২০ হাজার মানুষ রাসেলস ভাইপার আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন। এ ছাড়াও চরখানপুর, চরমাঝারদিয়াসহ এসব এলাকায় নতুন পানির সঙ্গে রাসেলস ভাইপার আসছে বলে লোকজন জানিয়েছেন। বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, পদ্মার নতুন পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে আছে ২০ হাজার মানুষ। তিনি বলেন, সবাইকে সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর