শিরোনাম
বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভারতে এমপি আনার খুন রহস্য

ফোনের খোঁজে গোয়েন্দারা

গ্যাস বাবু ঝিনাইদহ কারাগারে, মিন্টুকে কেন রিমান্ডে আনা হচ্ছে না প্রশ্ন ডরিনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফোনের খোঁজে গোয়েন্দারা

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার আসামি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা তিনটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু। সেই মোবাইল ফোন উদ্ধারে আজকালের মধ্যে ঝিনাইদহ যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তদন্ত টিম। এর আগে গ্যাস বাবুকে গতকাল ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ কারাগারে পাঠানো হয়। ডিবি পুলিশ গ্যাস বাবুকে নিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান চালাবে।

এদিকে আনার খুনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার মিন্টুকে কেন রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে না-নতুন করে এমন প্রশ্ন তুলেছেন আনারকন্যা

মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মোবাইল ফোনগুলো কোথায় কোথায় ফেলেছেন তা বলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আদালতের কাছে আবেদন করা হয় বাবুকে সঙ্গে নিয়ে আলামত উদ্ধারের বিষয়ে। গ্যাস বাবু আদালতে বলেছেন, তিনি একজন নেতার নির্দেশে আশপাশের কোনো এক নালা বা পুকুরে মোবাইলগুলো ফেলে দিয়েছেন। হারুন অর রশীদ বলেন, আলামত উদ্ধারের জন্য গ্যাস বাবুকে সঙ্গে নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ অভিযানে যাবে। পানির মধ্য থেকে আলামত উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও জেলেদের কাজে লাগানো হবে। আলামতগুলো যাতে কেউ সরিয়ে ফেলতে না পারে সেজন্য স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন কবে নাগাদ কলকাতায় যাবেন-এ প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আনার পরিবারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। ডরিন কিছুটা অসুস্থ, এজন্য হয়তো দেরি হচ্ছে। তারা শিগগিরই কলকাতায় যাবেন ডিএনএ স্যাম্পল দেওয়ার জন্য। হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আক্তারুজ্জামান শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে। শাহিনকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত চেষ্টা করবে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, আনারকন্যা ডরিন কালীগঞ্জে একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেছেন, গ্যাস বাবুকে রিমান্ডে আনা হচ্ছে। আর মিন্টু তিন দিনের রিমান্ডের মাথায় কারাগারে চলে যাচ্ছেন। এটি কেন হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে এ প্রশ্নটি রাখতে চাই? যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করে তাহলে সংগঠন সে দায় নেয় না। কিন্তু দলের মধ্যে থেকে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলে দল তাকে বহিষ্কার করে দিতে বাধ্য। কিন্তু কেন এখন পর্যস্ত বহিষ্কার করা হলো না? আমার বাবাকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার বর্ণনা সন্তান হিসেবে আমার দিতে কষ্ট হয়। গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্রুত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক। ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ করার মতো অনেক লোক আছে। তিনি বলেন, আমি এত বড় হয়েছি, আমি নিজেই জানতাম না যে স্বর্ণ চোরাচালান হয় কী করে। এ ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার বাবার ইমেজ ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর