শিরোনাম
বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সরকারি চাকরি ছেড়ে সফল উদ্যোক্তা শহিদ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

সরকারি চাকরি ছেড়ে সফল উদ্যোক্তা শহিদ

বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকার কোয়েল পাখি ও ডিম বিক্রি করে তাক লাগিয়েছেন বগুড়ার যুবক শাহিদুল ইসলাম শহিদ। ১০০ কোয়েল পাখি থেকে তার থামারে এখন ৭০ হাজার পাখি। সরকারি চাকরি ছেড়ে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। নিজে স্বনির্ভর হয়ে অন্যদের আলোর পথ দেখাচ্ছেন।

জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা গ্রামের কৃষক দিরাজ প্রামাণিকের ছেলে শাহিদুল ইসলাম শহিদ। ২০০৫ সালে এসএসসি পাসের পর উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়ন করতে থাকতেন শহরের ছাত্রাবাসে। ২০১০ সালের দিকে শহরের সাতমাথায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া দেখে খামার গড়ার চিন্তা করেন তিনি। মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ১০০ কোয়েল পাখি দিয়ে শুরু করেন খামার। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা এ নিয়ে তাকে তাচ্ছিল্য করতেন। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে তিনি ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদফতরের কার্য সহকারী পদে চাকরি পান। চাকরির চেয়ে খামারে বেশি লাভবান হবেন তাই তিন বছর চাকরি করে ফিরে আসেন খামারে। পাশাপাশি ইতিহাস বিভাগ থেকে তিনি মাস্টার্স পাস করেন। ১৪ বছরে তিনি ছোটবড় ৩০টি খামার গড়েছেন। যেখানে এখন পাখির সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি। তিনি নিজে স্বনির্ভর হয়েছেন। অন্যদিকে ৪০ জন মানুষের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি করেছেন। উদ্যোক্তা শাহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, জাপানি জাতের কোয়েল পাখি থেকে তিনি ডিম উৎপাদন করেন। ২ থেকে ৩ টাকা করে মাসে ৬ লাখ পিস ডিম বিক্রি, নিজস্ব ইনকিউবেটরে প্রতি মাসে দেড় লাখ বাচ্চা উৎপাদন, খাবার উপযোগী পাখি বিক্রি করেন প্রতি মাসে ৪৫ হাজার পিস। ২৫ থেকে ৩০ দিনে ২৪ টাকার খাবার খেয়ে একটি পাখি ২২০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজন হয়। খাবার উপযোগী এসব পাখি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। ৪৫ থেকে ৬০ দিনের একটি পাখি বছরে ৩ শতাধিক ডিম দেয়। ইনকিউবেটরে ১৮ দিনে বাচ্চা ফুটিয়ে তা ৭ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করেন তিনি। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। তিনি জানান, এখন ২ বিঘার ওপর জায়গাতে গড়ে তুলেছেন মা কোয়েল অ্যান্ড হ্যাচারি। গ্রামের বেকারদের স্বনির্ভর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন, অসহায় নারীরাও রয়েছেন সেই তালিকায়। নিজেই খামার গড়েছেন প্রায় ৩০টি। সেখানে চুক্তিভিত্তিক খামার দেখাশোনা করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। অনেকেই তার কাছে আসেন পরামর্শ নিতেও।

সর্বশেষ খবর