বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাবেক এএসপির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির অভিযোগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের (চট্টগ্রাম) অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের উপপরিচালক (অনু ও তদন্ত-৫) মীজানুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে মামলার অনুমোদনের বিষয়টি  জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের (চট্টগ্রাম) অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী মিসেস তাহেরিনা বেগমের  বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। সূত্র জানায়, দুদকের হটলাইনে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের শুরুতে পুলিশের এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনাকে সম্পদের বিবরণ দাখিলের জন্য নোটিস দেয় দুদক। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর আবুল হাসেম অবসর নেন। অনুসন্ধানে আবুল হাশেমের ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকার এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পায় দুদক। এরই প্রেক্ষিতে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। 

জানা গেছে, আবুল হাশেম চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দেওয়ানপুরের গশ্চি এলাকার মৃত আলহাজ মো. গুরা মিয়ার পুত্র। পুলিশের এই সাবেক কর্মকর্তার মোট ১ কোটি ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩১ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। আয়কর নথি অনুযায়ী- আবুল হাশেমের ২০১০-১১ থেকে ২০১৭-২০১৮ করবর্ষ পর্যন্ত বৈধ ও গ্রহণযাগ্য আয় ৬৭ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ টাকা। এর মধ্যে কর পরিশোধসহ পারিবারিক ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তার ব্যয় বাদ দিলে নিট আয়ের পরিমাণ ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ১৭৩ টাকা অর্থাৎ মো. আবুল হাশেমের ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকার বৈধ উৎস বহির্ভূত সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। আবুল হাশেমের স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের নামে ১ কোটি ১ লাখ ৬ হাজার ৭৯৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। ২০০৫-২০০৬ করবর্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথি থেকে নিট আয় পাওয়া যায় ৮১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ টাকা। তাহেরিনার ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর