শিরোনাম
শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাহাড়ে মৌসুমি ফলের বাম্পার ফলন

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে মৌসুমি ফলের বাম্পার ফলন

পাহাড়ে মৌসুমি ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেখতে আকর্ষণীয়। খেতেও মজাদার। টসটসে রসালো। এমন সব মিশ্র ফলের উৎপাদন হয়েছে পার্বত্যাঞ্চলে। হাতের নাগালে মিলছে দেশি-বিদেশি জাতের আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, লটকন, ড্রাগন, রামভুটান, জাম, গাবসহ বিভিন্ন প্রজাতির মৌসুমি ফল। এসব ফল শুধু রাঙামাটির হাটবাজারে নয়, মিলছে অন্য দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবানেও। মিশ্র ফলের রসালো গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে পাহাড়ি জনপদে। আম, কাঁঠাল, লিচু আর আনারসে সয়লাব পাহাড়। প্রতিদিন বসছে মৌসুমি ফলের হাট। এতে ক্রেতাদের আকর্ষণ যেমন বেশি, তেমন লাভবান হচ্ছেন বিক্রেতারাও। দামও সাধ্যের মধ্যে। পার্বত্যাঞ্চলের গন্ডি পেরিয়ে এসব বাহারি ফল বাজারজাত হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যসূত্রে জানা গেছে, উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচুর প্রচুর ফলন এসেছে। রাঙামাটি জেলায় মিশ্র ফলের আবাদ হয়েছে ৩০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে; যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। তার মধ্যে আমের বাগান রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে। এসব বাগানে এবার প্রায় ৯.৮ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে রেগুয়াই ও আম্রপালির বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে চায়না-২, চায়না-৩ জাতের লিচুর। বোম্বে লিচুর ফলনও হচ্ছে উচ্চমাত্রায়। শুধু রাঙামাটি জেলায় লিচুর বাগান রয়েছে ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছর লিচুর উৎপাদন হয়েছে ৯.৫০ মেট্রিক টন। একই সঙ্গে আনারস ১১ হাজার ৯০০ হেক্টরে। আর কাঁঠাল আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০ হেক্টরে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন।

স্থানীয় ফল চাষি সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোনারাম কাউরিপাড়ায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে মিশ্র ফলের বাগান করেছি। ফলনও হয়েছে বাম্পার।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রাঙামাটির বিভিন্ন মৌসুমি ফলের ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অধিক। কৃষক যদি আরও একটু সচেতন হয় তাহলে এসব ফল উৎপাদনের ধারা ধরে রাখা সম্ভব হবে।’ এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খাঁ জানান, সম্ভাবনাময় এ কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং পার্বত্যাঞ্চলে মৌসুমি ফল সংরক্ষণ ও কৃষকের স্বার্থে হিমাগার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর