শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মংডু দখলে তীব্র যুদ্ধ

প্রতিদিন ডেস্ক

পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী শহর মংডু দখলে অগ্রাভিযান শুরু করেছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। এ অভিযানের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা বাহিনী। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুরো মংডু জুড়ে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্র : নারিঞ্জারা নিউজ। গণমাধ্যম কর্মীরা খবর দিয়েছেন জান্তা সৈন্যরা গত ২৫ জুন সকালে এলাকাটিতে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এরপর থেকে নাফ নদ থেকে জান্তার একটি সামরিক জাহাজ থেকে জনবহুল এলাকা লক্ষ্য করে ক্রমাগত আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। যুদ্ধবিমানগুলোকেও দিনে ও রাতে শহরের ওপর দিয়ে উড়তে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা জানান, মংডু শহরের চারপাশে কিছু প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান তৈরি করে আরাকান আর্মি যোদ্ধাদের শহরে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল জান্তা বাহিনী। তবে তাদের সেই প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে দিতে আরাকান আর্মি স্থল আক্রমণের পাশাপাশি ড্রোন এবং আরপিজি হামলা করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জান্তা সৈন্যরা আত্মরক্ষার্থে মায়ো মা কা নিন তান ওয়ার্ডে বাংলা মঠ এবং সমাজকল্যাণ ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসে অবস্থান নিয়েছে। কিছু সৈন্য লেট থার এবং কুলাবার মুসলিম গ্রামে অবস্থান করছে। এদিকে আরাকান আর্মি শহরটি ঘিরে ফেলে অগ্রসর হচ্ছে। জান্তার বিমান বাহিনী তাদের বাধা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ ও মিয়ানমারের মংডুর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করেছিল। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই-সংঘর্ষের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

রোহিঙ্গাদের সমর্থন চাইছে জান্তা : মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডুতে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) একটি চালের গুদাম লুট করেছে জান্তা সৈন্যরা। লুট করার পর গুদামে আগুন লাগিয়ে যায় তারা। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের গুদাম লুট হওয়ার ঘটনা স্বীকারও করেছেন সামরিক জান্তার কর্মকর্তারা। জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন নতুনও জানিয়েছেন, তারা ২ হাজার বস্তা চাল নিয়ে এসেছেন। জাও মিন তুন ২৭ জুন সামরিক মালিকানাধীন সংবাদপত্রের এ কথা স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, গত ২১ জুন চালগুলো আরাকান আর্মির হাত থেকে বাঁচাতে এবং স্থানীয়দের মাঝে বিলিয়ে দিতেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এদিকে একজন মুসলিম রোহিঙ্গা বাসিন্দা জানিয়েছেন, ২২ জুন জান্তা সৈন্যরা মংডুর মুসলিম বাসিন্দাদের কাছ থেকে জান্তার জন্য সমর্থন চেয়ে চালের বস্তা বিতরণ করে। সেদিন ২০১৯ পরিবারের মাঝে এই চাল বিতরণ করা হয়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর