শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধের শীর্ষে হ্যাকিং

ভুক্তভোগীদের ৫৯ শতাংশই নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে মোট অপরাধের ১১.৮৫ শতাংশ এখন সাইবার অপরাধ। সাইবার অপরাধে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই নারী। মোট সাইবার অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১.৬৫ শতাংশই হ্যাকিং সংক্রান্ত। ভুক্তভোগীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের কারণে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। গতকাল রাজধানীতে ‘বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ প্রবণতা-২০২৪’ এবং  ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উদীয়মান প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিক্যাফ উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান। গবেষণা প্রতিবেদন পেশ করেন সিক্যাফ গবেষণা দলের প্রধান ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক  বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ আল মারজুক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে সাইবার অপরাধে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন অপরাধ। এক বছরের ব্যবধানে এ হার দ্বিগুণের বেশি বেড়ে মোট অপরাধের ১১.৮৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পরপর দুই বছরের জরিপ-ফল থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী সাইবার আক্রান্ত শিশুদের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৬৫ শতাংশে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮.৭৮ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এছাড়াও আক্রান্তদের প্রায় ৫৯ শতাংশই নারী। অপরাধের ধরনের মধ্যে ২১.৬৫ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার হয়ে শীর্ষে রয়েছে। আর বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দেশে সাইবার জগতে ‘পর্নোগ্রাফি’ অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। ভুক্তভোগীদের ১১.৩৫ শতাংশ এই অপরাধের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৪৭.৭২ শতাংশ সামাজিক মর্যাদাহানি, ৪০.১৫ শতাংশ আর্থিক ক্ষতির শিকার এবং প্রায় সবাই মানসিক যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮১.২৫ শতাংশ সাধারণ ডায়েরি এবং ১৮.৭৫ শতাংশ লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগকারীদের মধ্যে ১২.৫০ শতাংশ মন্তব্য করেননি। ৮৭.৫০ শতাংশ সুফল পাননি। এসব প্রতারণায় আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিক্ষিত। সিক্যাফ সভাপতি কাজী মুস্তাফিজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুন আশরাফীর সঞ্চালনায় সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যান্ড গভর্নেন্স (জি.এস.জি) বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ এ হুসেইন, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ও প্রধান গবেষক, আইডিয়া ফাউন্ডেশনের হুসেইন সামাদ, বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির কোষাধ্যক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজমুস সালিহিন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের (সিটিটিসি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ।

সর্বশেষ খবর