শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে। হঠাৎ এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি) কর্তৃপক্ষ বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটটি শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এর প্রথম ইউনিটটি বন্ধ হয়েছিল। তবে পিডিবির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি পাওনা। এটি পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। জানা যায়, কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। এর দুটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদনসক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শুক্রবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে পুনরায় কবে উৎপাদন শুরু হতে পারে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে এর উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান করে দেখছে। ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায় আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। ৫ জুলাই এটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে এরই মধ্যে ঢাকার বাইরের গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী (সিস্টেম অপারেশন) বি এম মিজানুল হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে এর দ্বিতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে প্রথম ইউনিটটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয়। আদানি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধের কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটির কথা বলেছেন। তারা এর কারণ অনুসন্ধান করছেন। তবে বৃষ্টির কারণে আপাতত গরম কিছুটা কম থাকায় আমরা অন্য কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে লোডশেডিং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ পিডিবির পরিচালক জনসংযোগ মো. শামীম হাসান বলেন, ‘আদানি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি পাওনা। এ অর্থ প্রদানে এরই মধ্যে সরকারের দায়িত্বশীল মহল উদ্যোগ নিচ্ছেন।’

সর্বশেষ খবর