আট বছর আগে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় প্রাণ যাওয়া ১৭ বিদেশির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন ঢাকার বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা। প্রতি বছরই হোলি আর্টিজানের গুলশানের সেই ভবনে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন ইতালি, জাপান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক। এবারও তারা শ্রদ্ধা জানাবেন বলে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের স্মরণে এবারও শোকসভার আয়োজন করেছে ইতালি দূতাবাস। গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে লেকের তীরের তৎকালীন হোলি আর্টিজান বেকারির সবুজ লন ও খাবার ছিল বিদেশিদের কাছে খুবই প্রিয়। গুলশান বারিধারায় থাকা বিদেশিরা হরহামেশাই সেখানে যেতেন। ২০১৬ সালের ১ জুলাই সেখানে নৃশংস হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, সাতজন জাপানের, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক, দুজন বাংলাদেশি নাগরিক ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া পরবর্তীকালে চিকিৎসাধীন হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর দুজন স্টাফ মারা যান। নিহত ইতালির ৯ নাগরিক হলেন- মার্কো টোনডাট, ভিনজেনজো ডি’অ্যালেস্ট্রো, সিমোনা মন্টি, মারিয়া রিবোলি, নাদিয়া বেনেভেট্ট, অ্যাডেলে পুগলিসি, ক্লদিও ক্যাপেলি, ক্রিশ্চিয়ান রসি ও ক্লদিয়া মারিয়া ডি’অ্যান্টোনা। জাপানের সাত নাগরিক হলেন- হিডেকি হাশিমোটা, কোয়া ওগাসাওয়ারা, মাকোটো ওকামুরা, হেরোশি তানাকা, ইয়োকি সাকাই, নোবুহিরো কোরুসাকি ও রুই শিমোডাইরা। ভারতীয় নাগরিক তারিশি জৈন ও বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক অবিন্তা কবির। বাংলাদেশি দুই নাগরিক ইশরাত জাহান আখন্দ ও ফারাজ আইয়াজ হোসেন এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল করিম ও পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন আহম্মেদ খান ভয়াবহ ওই হামলায় নিহত হন। পরে হোলি আর্টিজানের দুজন স্টাফ সাইফুল চৌকিদার ও জাকির হোসেন শাওন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রতি বছর নিহতদের জন্য শোক পালন ও শ্রদ্ধা জানায় সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলো। এবার সকালে ফুল দেওয়ার পর ইতালি দূতাবাসে আয়োজন করা হয়েছে শোকসভার।
