শিরোনাম
সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

দিনভর বৃষ্টি ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনভর বৃষ্টি ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা

প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজে উপস্থিত হয় পরীক্ষার্থীরা -জয়ীতা রায়

সারা দেশে গতকাল দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ কর্মজীবীরা। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, এই বৃষ্টি আরও  তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল আবহাওয়া অফিসের পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্ষা মৌসুম এবং দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় ও বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থার কারণে বৃষ্টি বেড়েছে। এ অবস্থায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও গতকাল বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ ১৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার।

 

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়া এবং সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাহাড়ধসের শঙ্কা তৈরি হয়। শনিবার রাত থেকে গতকাল দিনভর কখনো থেমে, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান বলেন, দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। আস্তে আস্তে বৃষ্টিপাত কমতে থাকবে। তবে যেহেতু এখনো তিন নম্বর সিগন্যাল আছে তাই ভারী বৃষ্টি হলেই এ সময় কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের ঝুঁকি আছে। এদিকে নগরে ২৬টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় আছে। এসব পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি পরিবার বসবাস করছে। যেখানে শিশু, বৃদ্ধসহ বসবাসরত মানুষের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানায়, পাহাড়ে আবারও শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি ও আবার কখনো ভারি। অবিরাম চলছে বর্ষণ। এতে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন মো. মোশারফ হোসেন খান দ্রুত সময়ের মধ্যে অতি ঝুঁকিতে বসবাসরতদের পাহাড় ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন। সতর্কতা মাইকিংয়ের পাশপাশি মানুষের জনমালে নিরাপত্তা দিতে মাঠে নেমেছে জনপ্রতিনিধিরাও। রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির জানান, আরও এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে বৃষ্টিপাত। রয়েছে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা। তাই সতর্ক থাকতে হবে স্থানীয়দের। এদিকে ঠাকুরগাঁও, কক্সবাজার, পঞ্চগড়সহ সারা দেশে ভারী বর্ষণসহ ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। এতে বসতবাড়িসহ গাছাপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণে রিং কালভার্টের পাশে একটি সড়ক ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর