সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

পর্যাপ্ত সরবরাহ, তবু বাড়ছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

পর্যাপ্ত সরবরাহ, তবু বাড়ছে চালের দাম

পর্যাপ্ত মজুত-সরবরাহ সত্ত্বেও গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাজারে প্রায় সব জাতের চালের দাম বেড়েছে। প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কোরবানির ঈদে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং রাইস মিল বন্ধ থাকায় এই দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৮ টাকা, বিআর২৮ ও বিআর২৯ চাল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি করছেন। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। কোরবানির ঈদের আগে এসব চালের খুচরা দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কম ছিল।

পাইকারি বাজারে বর্তমানে চিকন চালের মধ্যে প্রতি কেজি মিনিকেট মানভেদে ৫৯ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭৪ টাকায়। আর দেশি বাসমতি চালের কেজি ৮০ থেকে ৮৪ টাকা। মাঝারি মানের বিআর২৮ প্রতি কেজি ৫১ থেকে ৫৩ টাকা, বিআর২৯ চাল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, পাইজাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণা মানভেদে ৪৯ থেকে ৫১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাইব্রিড মোটা চাল ৪৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মালিবাগে চাল কিনতে আসা বেসরকারি কর্মকর্তা হানিফ মোহাম্মদ বলেন, প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে জীবনযাপন করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। একটি পণ্য কিনলে আরেকটি কেনার বাজেট থাকছে না। ঈদের ছুটি কাটিয়ে আসার পর একটু কম দামে চাল কেনার আশায় মালিবাগ বাজারে এলাম। কিন্তু এসে দেখি বস্তায় ১০০ টাকা করে বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত চালের দামও বাড়তে শুরু করেছে। দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়তেছে। বাবুবাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা মেসার্স রশিদ রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ বলেন, চালের বাজার গত এক দেড় মাস ধরে স্থিতিশীল ছিল। কারণ এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে সরবরাহও ভালো ছিল। ঈদের পর হঠাৎ চালের দাম বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর