নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জঙ্গি সন্দেহে একটি বাড়ি থেকে তিনটি বোমা উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এ সময় ২টি চাপাতি ও কয়েকটি আইটি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে, সেখান থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গতকাল বিকালে ৩টি বোমা উদ্ধারের পর তার নিষ্ক্রিয়র বিষয়টি নিশ্চিত  করেছেন, এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) সানোয়ার ইসলাম। এর আগে সকাল ১০টা থেকে উপজেলার বরপা বাগানবাড়ি এলাকার সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের বাড়িটি ঘিরে রাখে এটিইউর সদস্যরা। দুপুর ২টায় ভবনের ভিতরে তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান শুরু করা হয়।

এটিইউর পুলিশ সুপার সানোয়ার ইসলাম বলেন, গত মাসের ৮ ও ৯ তারিখে আমরা নেত্রকোনায় অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেশব্যাপী অনেক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের ভিত্তিতে আমরা কক্সবাজার থেকে একজনকে গ্রেফতার করি। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জে কাজ করছিলাম। এখানে একাধিক সদস্য থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, সকাল ১০টায় আমরা এ বাড়িটিকে চিহ্নিত করি। তাদের কাছে কিছু ম্যাটারিয়েলস থাকার বিষয়টি আমরা জানতে পারি। তাই আমরা সতর্কভাবে অভিযানটি পরিচালনা করেছি। চার তলা বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে তৃতীয় তলা থেকে আমরা ৩টি শক্তিশালী বোমা, আইটি সরঞ্জাম ও চাপাতি উদ্ধার করেছি। পরে এগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করি। তবে, অভিযানের কথা টের পেয়ে এখানে যারা থাকতেন তারা আগেই পালিয়েছেন।  একই ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকা সুন্নত মিয়া জানান, দুই শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী কয়েক মাস ধরে তৃতীয় তলায় থাকছিলেন। কদিন ধরে তাদের দেখতে পাচ্ছেন না তারা। সেই স্বামী স্ত্রী জানিয়েছিলেন তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডে গার্মেন্টে চাকরি করেন। স্থানীয়রা জানান, জঙ্গিরা বাড়িটির তৃতীয় তলায় পূর্ব দিকে দুটি রুম নিয়ে থাকতেন। যেখানে দুজন পুরুষ বসবাস করতেন।

এদিকে, জঙ্গি সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার তলা বিশিষ্ট বাড়ি ঘেরাওকে কেন্দ্র করে আশপাশের স্থানীয় লোকজন অভিযান দেখতে ভিড় জমান। জঙ্গি আস্তানার খবরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপকচন্দ্র সাহা বলেন, জঙ্গি সন্দেহে অভিযান ও বোমা উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করার ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।