বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
অপহরণ চাঁদা দাবি

দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয় জনের কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে ২৫২ বস্তা পিঁয়াজসহ ট্রাক লুট, চালক-হেলপারকে অপহরণের পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণের মামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- বগুড়া জেলার বাসিন্দা ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাইনুল হাসান, চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা সলঙ্গা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মতিউর রহমান খান, সলঙ্গা থানার পাটধারী গ্রামের শীতল প্রামাণিকের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রনি, একই থানার হাসানপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে সবুজ আলী, বাগুন্দা গ্রামের বাহাজ উদ্দিনের ছেলে আনিস ওরফে আনিস ড্রাইভার ও সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের নান্নু মন্ডলের ছেলে সাব্বির আলম ওরফে সবুজ। এর মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা মাইনুল হাসান, মতিউর রহমান, রেজাউল করিম ওরফে রনি, সবুজ আলী ও আনিসকে ৩৬৫ ধারায় সাত বছরের কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং পেনালকোড ৩৯২ ধারায় ১৪ বছরের কারাদন্ড ও প্রত্যককে ২০ হাজার করে অর্থদন্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একই মামলায় সাব্বির আলম ওরফে সবুজকে ৪১১ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা দন্ড অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। রায়ের সময় দন্ডপ্রাপ্ত সাব্বির আলম ওরফে সবুজ ও খালাসপ্রাপ্ত মনসুর আলী ছাড়া অন্য সব আসামি অনুপস্থিত ছিল।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাদী ও ট্রাক পরিবহন ব্যবসায়ী রাজশাহী গোদাগাড়ীর সারেংপুর গ্রামের মৃত মহসিন আলীর ছেলে মজিবুর রহমানের একটি ট্রাক চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ বন্দর থেকে ২০১৭ সালের ১০ জুন রাত ২টার সময় ২৫২ বস্তা ভারতীয় পিঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার র‌্যাব অফিসের মহাসড়ক সংলগ্ন সমবায় পেট্রল পাম্পে টয়লেট ব্যবহারের জন্য ট্রাক থেকে নামলে পুলিশ পরিচয়ে তাদের দুজনকে প্রাইভেটকারে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চালক ও হেলপারকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

সর্বশেষ খবর