বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের আদালত অবমাননার বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। গতকাল শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য ১১ জুলাই দিন ধার্য করেন।

আদালতে নূরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। পরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, নিজের বক্তব্যের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন নুরুল হক নূর। পরবর্তীতে হলফনামার মাধ্যমেও নুরুল হক নূর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যখন পাবলিকলি বক্তব্যে দেবেন, তখন আদালতের বিষয়ে কথা বলতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। এটি আজকেও (গতকাল) আমরা বলেছি এবং এটির ওপর বহাল আছি। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ১১ জুলাই রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ এবং সমাবেশ করে গণ অধিকার পরিষদ। সেদিন বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। গত ৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন নজরে আসার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হাই কোর্ট ১৭ ডিসেম্বর রুল জারি করে নূরকে তলব করেন।