শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

জুয়েলারি মেশিনারিজের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত, দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুয়েলারি মেশিনারিজের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

রাজধানীর আইসিসিবি পুষ্পগুচ্ছ হলে জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। জুয়েলারি কারখানা স্থাপন ও পুরাতন কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে তিন দিনের এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ হলে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দেশের শীর্ষ উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আহমেদ ইব্রাহিম সোবহান, কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, নিউজ২৪ টিভির নির্বাহী পরিচালক রাহুল রাহা, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সহসভাপতি সমিত ঘোষ অপু ও আয়োজক প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গহনা ক্রয়-বিক্রয়ের পাশাপাশি শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্যও আলাদা নীতিসহায়তা দিলে অনেকেই কারখানা করতে এগিয়ে আসবেন। তিনি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ফরমাল খাতে ব্যবসা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে চাই। তবে এজন্য নীতিসহায়তা দরকার। জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের যে কোনো ধরনের সমস্যায় এফবিসিসিআই পাশে আছে বলেও জানান তিনি। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান যেটাতে হাত দেন সেটা সোনা হয়ে যায়। আর সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের দায়িত্ব নেওয়ার পর জুয়েলারি যে একটা বড় শিল্প খাত সেটা দেশবাসী জেনে গেছে। তিনি বলেন, ‘আহমেদ আকবর সোবহান ভাই বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা সোনা পাব। তখন দেশে আরও বেশি জুয়েলারি কারখানা স্থাপন হবে। মেড ইন বাংলাদেশ সোনার বার  ও অলংকার রপ্তানি করতে পারব।’ এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, খুব কম সময়ে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে। তবে এটা এমনি এমনি আসেনি। রাষ্ট্রীয় নীতিসহায়তা ও নিরবচ্ছিন্ন কর্মপরিবেশ তৈরি হওয়ার কারণেই সম্ভব হয়েছে। বাজুসের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, এক ভরি সোনার অলংকার হাতে তৈরি করলে ৮ থেকে ৯ শতাংশ নষ্ট হয়। সেখানে মেশিনে উৎপাদন করলে নষ্ট হবে ২-৩ শতাংশ। অনেকেই বলেছেন মেশিনে অলংকার তৈরি হলে ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে, কারিগররা বেকার হবে। সেটা কখনো হবে না, কারণ স্বর্ণ শিল্পীদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। এজন্য বাজুসের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীদের দিয়ে নতুন ডিজাইন তৈরি করা হচ্ছে, সেই ডিজাইনে অলংকার তৈরি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করাই আমাদের লক্ষ্য। ‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’ স্লোগানে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস ও ভারতীয় কেএনসি সার্ভিসেস যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ৬ জুলাই পর্যন্ত ব্যবসায়ী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুুক্ত প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি) ২০২৪-এ অংশ নিচ্ছে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১০ দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ খবর