শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ এক্স টিকটক ক্রিমিনাল বললেন পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংঘটিত অপকর্মের জন্য ফেসবুক, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটককে ক্রিমিনাল বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে গতকাল বিসিসি সম্মেলনকক্ষে ‘বিসিসি, ইউএনডিপি বাংলাদেশ ও মনের বন্ধু’-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আইসিটি অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ’ গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল এসব প্ল্যাটফরম ক্রিমিনাল। ব্যবসা ছাড়া কিছুই বোঝে না। তারা শুধু ব্যবসার জন্য আমাদের শিশু-কিশোর ও তরুণদের বিভ্রান্ত করছে। এটা কখনোই কোনো দায়িত্বশীল সরকার মেনে নিতে পারে না। মানবাধিকার সংস্থাও মেনে নেবে না। তাদের অ্যালগরিদম যেভাবে কাজ করছে, তা স্পষ্ট ক্রাইম। তাদের এ ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হতে হবে। আইন মেনে জবাবদিহি না করলে, সরকার চুপ করে থাকবে না। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হরহামেশাই চোখে পড়ে তারকাদের ভুয়া পর্নো ভিডিও। তাদের দেখা যায়, অনলাইন জুয়ার প্রচারণাতেও। অভিযোগ উঠেছে, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারকা বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জেনারেট করা ছবি ও কণ্ঠ হুবহু নকল করে বানানো হচ্ছে এসব ডিপ ফেইক ভিডিও। এতে সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন অনেকেই।

পলক বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল স্পেসকে নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে সাইবার বুলিং বন্ধ করা, নেগেটিভ কনটেন্ট শনাক্ত ও রিমুভ করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমাদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিপ ফেকের মতো যেসব ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আমাদের তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্য দায়ী, তাদের শনাক্ত করতে হবে। তাদের দায়বদ্ধতা তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজ দেশের ৫০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। আমার নিজের নির্বাচনি এলাকা সিংড়ার একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। টাকা হারতে হারতে এতটা ঋণগ্রস্ত হয়েছে যে, সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। আমি তার বাড়িতে গেলাম তার বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের কান্না, আহাজারি দেখে এলাম। এর জন্য দায়ী কে? অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া।

সর্বশেষ খবর