শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সীমান্তে ৭ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার

কলকাতা প্রতিনিধি

সীমান্তে ৭ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করেছে বিএসএফ এবং ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ রুপির বেশি। পাচারকারী সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অন্তর্গত নদীয়া জেলায় মোতায়েন করা ৬৮ ব্যাটালিয়নের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা। কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের (ডিআরআই) সঙ্গে চারটি যৌথ অভিযান চালায়। ওই জেলার সীমানগরের ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে পরপর চারটি অনুসন্ধান অভিযানে সাত চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে। যাদের কাছ থেকে বিভিন্ন আকৃতির ১৭টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৯ কেজি ৫৭২ গ্রাম। বাজারে আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ৫৮২ রুপি। এই বিপুল পরিমাণ সোনা ডেলিভারিতে ব্যবহৃত একটি মারুতি সংস্থার ইকো গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ রুপি।

বিএসএফের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার চারটি অভিযান চালানো হয়। ডিআরআইর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফের ৬৮ ব্যাটালিয়ন এবং ডিআরআই-এর একটি যৌথ দল সীমানগর এলাকায় ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে চলাচলকারী যানবাহনে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ জওয়ানরা একটি সন্দেহজনক মারুতি ইকো গাড়ি থামায়। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার পর তল্লাশির সময় ৪.৮ কেজি সোনার বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। পরে একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশিকালে ১.২ কেজি সোনার বারসহ একজনকে আটক করা হয়। কিছুক্ষণ পর আরেকটি বাস থামিয়ে তল্লাশিকালে ৩.৬২ কেজি সোনার বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপর একটি অভিযানে করিমপুরের রামনগর গ্রামে সন্দেহজনক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১টি সোনার বার ও নগদ ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ রুপি নগদসহ একজনকে আটক করা হয়। প্রধান পাচারকারী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এবং এবার তিনি ওই জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে সোনার চালান পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি ৩ হাজার রুপি পেতেন।  বিএসএফ আরও জানিয়েছে, এর আগে ২০২২ সালে ১৬টি সোনার বারসহ বিএসএফ তাকে গ্রেফতার করেছিল। যার মামলা এখনো চলছে। এ ছাড়া সোনার অন্য পাচারকারীরাও জানান, করিমপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা নিয়ে দমদম রেলস্টেশনে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেন এবং এই কাজের জন্য তারা পান ২ থেকে ৫ হাজার রুপি। আটক সব চোরাকারবারি এবং উদ্ধার করা সোনা পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিআরআই, কলকাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর