শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য পাহাড়ি ঝরনায়

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য পাহাড়ি ঝরনায়

বর্ষায় রূপ বদলেছে পাহাড়ি ঝরনার। নৈসর্গিক সৌন্দর্য, নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর ঝরনার চারপাশ। সবুজের বুক চিড়ে অবিরাম ঝরছে জলধারা। মিশে যাচ্ছে হ্রদ পাহাড়ের বুকে। ঝরনার শুষ্ক জলকণাগুলো নীল আকাশে তৈরি করছে শুভ্র সাদা মেঘের ভেলা।

এমন হৃদয়নিংড়ানো সৌন্দর্য। আর বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য শুধু রাঙামাটিতেই দৃশ্যমান। তাই এ ঝরনার টানে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে হাজারো দেশি-বিদেশি পর্যটক।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নে আছে প্রায় শতাধিক পাহাড়ি ঝরনা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝরনাটির উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট। এটি বেশি আকর্ষণীয়। তাই বেশি পরিচিত পর্যটকদের কাছে। পর্যটক আনাগোনা বেশি থাকায় এ ঝরনার নামকরণ করা হয় ‘গিরি নির্ঝর’ ঝরনা হিসেবে। এ ঝরনার জলধারার নিক্কন ধ্বনি সমেত অপরূপ দৃশ্য না দেখলে কল্পনায়ও সে ছবি আঁকা অসম্ভব। ঝরনার জলরাশি সাঁই সাঁই করে ধেয়ে চলে ঝিরির আর কাপ্তাই হ্রদ প্রাণে। বহু আগেই এ ঝরনা দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি ঘটেছে।

সুবলং ঝরনায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটক মামুন রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে আমরা প্রায় ছুটে আসি এ ঝরনার টানে। ঝরনার পানিতে গা ভেজালে সত্যি সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। একই কথা জানালেন আরেক পর্যটক জিন্নাত সুলতানা। তিনি জানান, আমি রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করতে পাহাড়ে এসেছিলাম। কিন্তু ঝরনায় এসে মনে হলো এ যেন রূপ বৈচিত্র্যের ভান্ডার এখানে কী নেই। হ্রদ পাহাড় ঝরনার মিলনমেলা এখানে সত্যি অসাধারণ। রাঙামাটির শুভলং ঝরনার টিকিট বিক্রেতা রিন্টু চাকমা জানান, বর্ষা শুরু হলেই পর্যটকের ঢল নামে সুবলং ঝরনা স্পটে। এখন সুবলংয়ের ঝরনাকে ঘিরে পর্যটকের অনেক ভিড়। অনেকে পরিবার, পরিজন ও আপনজনসহ ঝরনা অবলোকনের জন্য আসেন। তাই জমে উঠেছে ব্যবসাও। অভিযোগ রয়েছে, সুবলং ঝরনাটি ঘিরে পর্যটন ব্যবসা গড়ে উঠলেও সংরক্ষণ করার জন্য নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। কিংবা পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়নি বিশেষ কোনো সুব্যবস্থা। তাই কিছুটা মনঃক্ষুণ আগত পর্যটকরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর