তুলনামূলক শ্রম ও ব্যয় কম হওয়ায় মাচা পদ্ধতিতে নাইস গ্রীন জাতের লাউ চাষে বেশি ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা। কীটনাশক প্রয়োগ না করে লাউয়ের চাষ করায় উৎপাদিত লাউয়ের চাহিদা এখন দেশজুড়ে। বিষমুক্ত খাদ্যশষ্য উৎপাদনে মাটি ও পরিবেশ রক্ষার্থে জৈব সার ব্যবহার করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন বোচাগঞ্জের ৪ কৃষক।
বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মুশিদহাট ফার্ম সংলগ্ন জমিতে মাচা পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ে লাউ চাষ করে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান কৃষকরা। মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করায় পোকামাকড়ের আক্রমণও কম।
বোচাগঞ্জের কৃষক তোফা, মোস্তফা হোসেন, হাবিবুর রহমান ও আনিসুর রহমান মাস দুয়েক আগে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের আওতাধীন মুশিদহাট ফার্মের ১০একর জমি লিজ নিয়ে মাচা পদ্ধতিতে নাইস গ্রিন জাতের লাউ চাষ শুরু করেন। কৃষক তোফা জানান, তারা জমিতে চাষ শুরুর ৬০ দিনের মাথায় বাজারে প্রথম দিনে ৬/৭ হাজার লাউ পাইকারি বিক্রি করেছেন। সপ্তাহের ৫দিন মাচা থেকে লাউ পাড়া হচ্ছে এবং আরও ৭ থেকে ৮সপ্তাহ লাউ পাড়া হবে। লাউ চাষিরা আশাবাদী ১০ একর জমি থেকে তারা ৩ লাখ লাউয়ের ফলন পাবেন। প্রতিটি লাউ ১২ থেকে ১৫টাকা দরে পাইকারের কাছে বিক্রি করার পরও সব খরচ বাদ দিয়ে মোট ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। লাউচাষি আনিসুর জানান, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি লাউ চাষে আগ্রহীর কারণ, বাজারে লাউয়ের চাহিদা ব্যাপক। অল্প সময়ে ফলন ধরে আবার পর্যায়ক্রমে বিক্রি করার সুবিধা থাকায় লাউ চাষে আগ্রহী হয়। ১০ একর জমিতে মাচায় লাউয়ের চাষ করায় ১৫/২০জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। বোচাগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, বোচাগঞ্জ উপজেলায় লাউয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ দিন দিন বাড়ছে। ধান, ভুট্টা, গমের পাশাপাশি ডাঙ্গা জমিতে করলা, লাউ, পটোল, ভেন্ডি, মিষ্টি কুমড়া, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ঝুঁকছে এলাকার কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বোচাগঞ্জের লাউসহ অন্যান্য সবজি বিক্রি হচ্ছে।