শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
গ্রীষ্মকালীন চাষে বাড়ছে আগ্রহ

তামাক ছেড়ে তরমুজ

জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া

তামাক ছেড়ে তরমুজ

সাফল্য আসায় কুষ্টিয়ার কৃষকদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। অসময়ের রঙিন তরমুজের ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কুষ্টিয়া অফিসের তথ্য মতে, জেলায় এবার প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যডিম, ব্লাকবেরি ও গোল্ডেন ক্লাউনসহ বিভিন্ন জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজের। আগের বছর দু-একজন বিচ্ছিন্নভাবে দু-এক হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। এই তথ্যে এবার তরমুজ চাষের হার বেড়েছে। অনেকেই আবার তামাক চাষ বন্ধ করেও আগামজাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। অসময়ের এই তরমুজের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের বেশি লাভ হচ্ছে। কুষ্টিয়া শহরের ফলের দোকানগুলো ছাড়াও মোড়ে মোড়ে ভ্যানের ওপর এসব তরমুজ বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে সাশ্রয়ী মূল্যে টাটকা তরমুজ কিনতে ছুটে যাচ্ছেন খেতেও। গত বছর মাত্র ২০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ করেন কুমারখালীর মিরপুর গ্রামের কৃষক শামীম আহমেদ। তিনি বিদেশ থেকে ফিরে এই চাষে মনোযোগী হন। তার সাফল্য দেখে এবার কুমারখালী, মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলাতেও কৃষকরা এই চাষ শুরু করেছেন। বিভিন্ন রঙের তরমুজের চাষ হলেও হলুদ, কালো ও গাঢ় সবুজ রঙের তরমুজের চাষই বেশি হচ্ছে। দৌলতপুরে বিদেশফেরত জিয়ারুল ইসলাম এবার তরমুজ চাষে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। একই অবস্থা সেখানকার সান্টু আলী নামের অপর কৃষকের। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে ভালোই সহযোগিতা করেছে। এবার ভালো লাভ পাওয়ায় আগামীতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ আরও বাড়াবেন বলে জানান তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তরমুজ গ্রীষ্মকালীন রঙিন সুস্বাদু ও রসালো ফল। আমরা বাড়ির আঙিনায় বা পতিত জমিতেও মাত্র দুই মাস মেয়াদি তরমুজ চাষ করার পরামর্শও দিচ্ছি। আগামীতে এই চাষ আরও বাড়বে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর