শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
প্রধান বিচারপতি

শ্রদ্ধাবোধ কমায় আমরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বর্তমানে দেশে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে। যে কারণে আমরা নীতি থেকে সরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গতকাল বিকালে ‘দুর্নীতি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, একে অপরের প্রতি রেসপেক্ট আমাদের দেশে কমে গেছে। কেউ কারও কথা মানে না। যে কারণে একে অপরের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে উঠেছি। এক বাহিনী অন্য বাহিনীর ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এক সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর। যার ফলে আমরা নীতি থেকে সরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। সেই প্রোগ্রামে তাকে একটি গ্রাইন্ডার উপহার দেওয়া হয়েছিল। তিনি সে উপহারটি নিতে চাননি। অনেক রিকোয়েস্টের পর গ্রাইন্ডারটি নিলেও তিনি পরবর্তী দিন সেই কোম্পানিকে চেক পাঠিয়ে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। কোম্পানি তার চেক ভাঙাচ্ছিল না। তখন তিনি তাদের বার্তা পাঠান- চেক না ভাঙালে তিনি উপহারটি ফেরত দেবেন। আবদুল কালাম মনে করেন- সব উপহারের পেছনে কোনো স্বার্থ থাকে। আমাদের বুঝতে হবে নীতি ও দুর্নীতির মধ্যে পার্থক্য কী। প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বাধীনতার আগে ৫টি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। জেল থেকে তার বাবাকে চিঠি লিখেছিলেন- আমাকে যেহেতু দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমি আর রাজনীতি করব না। এ কথা তিনি কষ্ট পেয়ে বলেছিলেন। বিচারিক কার্যক্রম শক্তিশালী হওয়ায় পরবর্তীতে হাই কোর্টে তিনি সব মামলায় মুক্তি পেয়েছেন। তিনি বলেন, সে সময় বঙ্গবন্ধুর মামলাগুলোর সব বিষয়ের কথোপকথন নিয়ে হাই কোর্টে একটি প্রকাশনী চালু করা হয়েছে। সেখানে তার মামলার সব বিষয় আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর