শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

পায়ে হেঁটে হজ পালন শেষে বাড়ি ফিরলেন আলিফ মাহমুদ

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

পায়ে হেঁটে হজ পালন শেষে বাড়ি ফিরলেন আলিফ মাহমুদ

পায়ে হেঁটে হজ পালন শেষে এক বছর পর নাঙ্গলকোটের শেয়ার বাতাবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি এসে পৌঁছেছেন আলিফ মাহমুদ (২৫)। তিনি ওই গ্রামের মরহুম আবদুল মালেকের  ছেলে। তার আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকার শত শত উৎসুক জনতা তাকে এক নজর দেখতে বাড়িতে ভিড় জমান। আবদুল মালেকের তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের মধ্যে আলিফ মাহমুদ সবার ছোট। তার বাবা আবদুল মালেক একজন লেখক ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আলিফ মাহমুদ ২০২৩ সালের ৮ জুলাই নাঙ্গলকোটের শেয়ার বাতাবাড়িয়া গ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে ১৩ জুলাই ঢাকা পৌঁছেন। এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন দফতরে ভিসা সংক্রান্ত কাজে প্রায় দেড় মাস রাজধানীতে অবস্থান শেষে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে হাঁটা শুরু করে ১৯ সেপ্টেম্বর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পৌঁছেন। ভারতে ৬৭ দিন হাঁটার পর ২৫ নভেম্বর ভারতের ওয়াগাহ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান পৌঁছেন। পাকিস্তান থেকে হেঁটে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি বন্দর আব্বাস সীমান্ত দিয়ে ইরান পৌঁছেন। ইরান থেকে ২৭ জানুয়ারি আরব আমিরাতে পৌঁছান। আরব আমিরাতের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে আবুধাবির শিলা সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরব পৌঁছেন। সৌদি আরবে চার মাস ১৪ দিন থাকার পর ওমরাহ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৭ মে  ইথিওপিয়ায় চলে যান। সেখান থেকে ২৩ মে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব পৌঁছেন। এ ছাড়াও, আলিফ মাহমুদ ২০২২ সালে সাইকেল চালিয়ে ৪১ দিনে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেন। আলিফ মাহমুদ বলেন, ২০২৩ সালের ৮ জুলাই বাড়ি থেকে বের হয়ে দীর্ঘ নয় মাস পায়ে হেঁটে সৌদি আরব পৌঁছে পবিত্র হজ পালন শেষে ২০২৪ সালের ৮ জুলাই বাড়িতে এসে পৌঁছেছি। এ দীর্ঘ পথযাত্রায় আমি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেছি। প্রতিদিন আমি ৪০-৫০ কিলোমিটার হেঁটেছি। এর মধ্যে আরব আমিরাতের দুবাই থেকে আবুধাবি পৌঁছতে একদিনে সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার হেঁটেছি। আমি হাঁটতে গিয়ে এসব দেশের কালচার দেখেছি এবং তাদের সঙ্গে মিশার সুযোগ পেয়েছি। শুধু মুসলিম নয় অন্যান্য ধর্মের লোকও আমাকে দেখতে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি পবিত্র ভূমিতে গমনের জন্য আমার এ ত্যাগ দেখে নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও আমাদের ধর্মের প্রতি অন্য ধর্মের লোকেরা অনুপ্রাণিত হয়েছেন, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমার ইচ্ছা আমি বিশ্ব ভ্রমণ করব এবং আফ্রিকার দেশগুলোসহ বিশ্বব্যাপী দ্বীনের দাওয়াত  দেব।

সর্বশেষ খবর