শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি দুটোই রয়েছে

-- এম হুমায়ুন কবীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি দুটোই রয়েছে

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, দেশের সরকারপ্রধানের সফর সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তদেশীয় সম্পর্কে গতি সঞ্চারে এ ধরনের সফরের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এ সফরে বেশ কিছু প্রাপ্তির জায়গা তৈরি হয়েছে। আরও কিছু প্রত্যাশা ছিল, সে ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ঘোষণা না থাকায় অপ্রাপ্তিও কিছুটা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে গতকাল এই সাবেক কূটনীতিক এসব কথা বলেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চীন আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন জানিয়েছে। সরকারের দিক থেকে এটাকে অর্জন হিসেবে দেখা যায়। রাজনৈতিক দল যেমন আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগে ইতিবাচকতা রয়েছে। এটাকে রাজনৈতিকভাবে সফলতা হিসেবে ধরা যেতে পারে। অর্থনৈতিকভাবে দেখলে বেশ কিছু সমঝোতা ও চুক্তিস্বাক্ষর হয়েছে। এটা প্রাইভেট সেক্টরে ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করবে। তিনি বলেন, আমাদের স্ট্যাটেজিক পার্টনারশিপকে আমরা আরেক ধাপ ওপরের দিকে নিয়ে গেছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নত হলেও চীন ৯৮ ভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ব্যাপারে আমরা আশাবাদী ছিলোম যে কিছু হবে, কিন্তু তারা বলেছে এটা নিয়ে আরও আলোচনার দরকার আছে। চীনের ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে আসবে, ডিজিটাল প্লাটফরমসহ বেশ কিছু জায়গায় চীনের প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করবে, এগুলো ইতিবাচক দিক। এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের আরও কিছু প্রত্যাশার জায়গা ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা চাপের মধ্যে আছে। চীনে এগুলো নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। যেমন- ৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, ৫ বিলিয়ন ডলারের পেমেন্ট সাপোর্ট ইউয়ানে হওয়ার কথা ছিল। পায়রা বন্দরকে ঘিরে কার্যক্রমে চীনের বড় বিনিয়োগের আলোচনা ছিল। কিন্তু এগুলোর কোনো সুষ্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করা হয়েছে। এ ছাড়া ত্রিপক্ষীয় আলোচনাতেও বাংলাদেশের পক্ষে অব্যাহত সমর্থন রাখতে চেয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ উভূত পরিস্থিতি আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানে বাংলাদেশ-চীন ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ব্রিকসের ব্যাপারে বাংলাদেশ আগ্রহী হওয়ায় তারা অভিনন্দন জানিয়েছে। তবে তাদের দিক থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ওয়ান চায়না পলিসির ব্যাপারে বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে বলা হয়েছে। তাইওয়ান-চীন সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। এ সফরে দুই দিকেই কিছু প্রাপ্তি রয়েছে, আবার কিছু অপ্রাপ্তিও রয়েছে।

সর্বশেষ খবর