শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

কৌশলগত সম্পর্ক নতুন ধাপে উন্নীত

--- মুন্সি ফয়েজ আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৌশলগত সম্পর্ক নতুন ধাপে উন্নীত

চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর ছিল দুই দেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এতদিন আমরা বলতাম কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারি, সেখানে এখন বলা হচ্ছে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারি। এটি নতুন একটি ধাপে উন্নীত করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্কটিকে আরেক ধাপ ওপরে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধান এবং তারা সেভাবে কাজ করবেন এজন্য যৌথ ইশতেহারে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যেসব সহযোগিতা চলমান সেগুলোকে আবার নতুন গতির সঞ্চার করাও এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। অর্থাৎ দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। সেদিক বিবেচনায় এ সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। এই সফরে অনেকগুলো বিষয় এসেছে। ২১টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সাতটি ঘোষণা এসেছে। এগুলো সবকিছুই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত দুই দেশের মধ্যে চলমান যে সহযোগিতা আছে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, কিছু কিছু প্রকল্পের কথাও এখানে আছে। তবে যা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি তা হলো বাংলাদেশের বর্তমান আর্থিক সংকটের মুহূর্তে আর্থিক সহায়তার বিষয়ে চীন শুভ সূচনা করেছে। দেশটি থেকে এক বিলিয়ন ইউয়ান দেওয়ার কমিটমেন্ট এসেছে। এ ছাড়া আরও কীভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা যায় তার জন্য একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই বাংলাদেশে আসবে। তিনি বলেন, যৌথ ইশতেহার পড়লেই বোঝা যায় যে,  বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে কাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপারে সরকার চেষ্টা করছে। সেখানে চীন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সেখানেও সহযোগিতা আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সার্বিকভাবে অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়েও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা আরও বেশি সচেষ্ট হবে। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি মনে করি এ ধরনের সফরে যা প্রত্যাশা করা যায় তা সফল হয়েছে। এখন এই প্রত্যাশাকে সামনে নিয়ে যেতে আমাদের যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে, কাজ করতে হবে এবং আমাদের বিভিন্ন রকম ঋণের ব্যাপার আছে, সেখানে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর