শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বড় ঘোষণা না এলেও ভবিষ্যতের বার্তা আছে

--- ড. দেলোয়ার হোসেন

নিজস্ব প্রদিবেদক

বড় ঘোষণা না এলেও ভবিষ্যতের বার্তা আছে

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, এ সফরে দৃশ্যমান কতগুলো অর্জন আমরা দেখতে পেয়েছি। বড় কোনো ঘোষণা হয়তো হয়নি, ভবিষ্যতের বার্তা রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২১টি সমঝোতা স্মারক হয়েছে। ৭টি ঘোষণা এসেছে। চীনের দিক থেকে বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তার কথা বলা হয়েছে। সেই জিনিসগুলো আমরা দৃশমান আকারে দেখতে পাচ্ছি। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। সফরে অনেকগুলো ভবিষৎমুখী পরিকল্পনাও আমরা দেখতে পাই। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চমবারের মতো শীর্ষ বৈঠক হলো। এটা একবারেই ভিন্ন প্রেক্ষিতে হয়েছে। একই মাসে ভারত সফরের পর ব্যাক টু ব্যাক চীনে সফর করেছেন। এটা এই অঞ্চলের ইতিহাসে বিরল যে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর দেশের শীর্ষ পর্যায়ে পরপর বৈঠক করা। এটা কূটনৈতিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে কূটনৈতিক ঘটনার দিকে বৃহৎ শক্তির দেশগুলো গভীর নজর রাখছে। মালদ্বীপের মতো দেশেও যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীনসহ বৃহৎ শক্তির দেশ নির্বাচনসহ বিভিন্ন দিকে নজর রেখেছে।

ড. দেলোয়ার বলেন, চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সেই প্রজেক্টগুলোতে অর্থায়ন করছে। বাণিজ্যের পরিমাণ প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই জায়গার চিন্তা করলে চীনের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে চীনের আগ্রহ দেখলে বোঝা যায় এ সম্পর্ককে তারা নতুনভাবে সজ্ঞায়িত করছে। তিনি বলেন, আমাদের সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার যে নীতি এবং ভারসাম্য রজায় রাখার যে নীতি রয়েছে তা এ সফরে দেখা যায়। আমাদের দেশ জোট নিরপেক্ষ অবস্থান এবং স্বাধীন অবস্থানের কথা বলে। এসব ক্ষেত্রে এ সফর বড় বার্তা দেয়। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেই জায়গা থেকে মনে করি এখানে ভূরাজনৈতিক বার্তা আছে বা কূটনৈতিক বার্তা আছে। সেটা ভারতের জন্য বা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বা অন্যান্য দেশগুলোর জন্য। এদিক থেকে আমি মনে করি বড় ধরনের অর্জন বা সাফল্যের বিষয় আছে।

ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ তো চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এমন জায়গায় নিতে পারে না যে, ভারত আর যুক্তরাষ্ট্র মনে করবে যে তাদেরকে উপেক্ষা করছে। বাংলাদেশকে ভারতের স্বার্থের জায়গা দেখতে হচ্ছে আবার চীনের স্বার্থও দেখতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হচ্ছে। এই কূটনৈতিক সমীকরণ জটিল পথ। এই পথ বাংলাদেশকে অতিক্রম করতে হচ্ছে।

ড দেলোয়ার বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন বলেছে আরাকান আর্মির সঙ্গেও তারা কথা বলবে। এটা একটা নতুন বিষয় আমরা দেখতে পেলাম। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে জান্তার সঙ্গে সঙ্গে আরাকান আর্মির সঙ্গেও তারা কথা বলবে।

সর্বশেষ খবর