শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে সাড়ে ১০ লাখ শিশু

তিন বছরে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পেয়েছে ২ লাখ

শাহেদ আলী ইরশাদ

ট্যানারি, পরিবহন, অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামজাত পণ্যসহ ৪৩ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে দেশের সাড়ে ১০ লাখ শিশু। এর মধ্যে ৮২ শতাংশ ছেলে এবং ১৮ শতাংশ মেয়ে। শিশু শ্রম মুক্ত দেশ গড়ার প্রকল্পের আওতায় গত সাড়ে তিন বছরে ২ লাখ শিশুকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার। নতুন করে আরও ১ লাখ শিশুকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের হিসাবে- দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭ জন। তারা ৪৩ ধরনের কাজে জড়িত। এর মধ্যে ছেলে শিশু ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৪ জন। মেয়ে শিশু ৪ লাখ ১ হাজার ৯৪৩ জন। এসব শিশুর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত ১০ লাখ ৬৮ হাজার ২১২ জন। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ১৯৫ জন ছেলে শিশু আর ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭ জন মেয়ে শিশু রয়েছে। ঝুঁকি নেই এমন কাজে নিয়োজিত ৭ লাখ ৮ হাজার শিশু। এসবের বাইরেও একটি বড় অংশ কাজ করে গৃহকর্মী হিসেবে। এদের সবাই শিক্ষার সুযোগ ও সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।

জানা গেছে, ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম মুক্ত করতে ২০২১ সালে পাঁচ বছরমেয়াদি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় খাতভিত্তিক শিশু শ্রম ও এলাকাভিত্তিক নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গত সাড়ে তিন বছরে ২ লাখ শিশুকে উপ-আনুষ্ঠানিক

শিক্ষা ও দক্ষতাবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্যানারি, জাহাজ এবং সিরামিকসহ মোট ৮টি খাত থেকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নারী ও শিশু শ্রম শাখার উপসচিব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিশু শ্রম নিরসনে সারা দেশে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে ইউনিসেফের চাইল্ড প্রটেকশন কর্মকর্তা জামিলা আক্তার বলেন, অনানুষ্ঠানিক পোশাক খাত, পরিবহন, ট্যানারিসহ অন্যান্য খাতে শিশু শ্রমিকরা কাজ করছে। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলেও পারিশ্রমিক পায় না। লেখাপড়ার সুযোগও নেই। একটা সময় এসব শিশু পড়ালেখা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ কারণে শিশু শ্রম নিরসনে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সর্বশেষ খবর