শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভিওআইপি সরঞ্জামসহ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল সিম, ভিওআইপি সরঞ্জামসহ মো. রাজু নামে এক ভিওআইপি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার র‌্যাব-১ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ৩০টি ভিওআইপি সিম বক্স, ৫ হাজার ৫০টি সিম, দুটি পাওয়ার ক্যাবল, একটি রাউটার, একটি মাউস, ছয়টি পেনড্রাইভ, ছয়টি মোবাইল ফোন, পাঁচটি ল্যাপটপ, একটি অনু, পাঁচটি ইন্টার সুইচ বক্স, একটি কি-বোর্ড, একটি ফেক্সিলোড সিম বক্স এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব বলছে, রাজু লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইউনুস আলী ভূইয়ার ছেলে। তিনি রাজধানীর মধ্য বাড্ডার হাজি সলিমুদ্দিন লেনের একটি বাসায় থেকে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন।

রাজু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে জানান, তিনি প্রচলিত সফটওয়্যারভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগব্যবস্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করতেন এবং অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফটওয়্যারভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে সার্ভার স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যসহ প"থিবীর বিভিন্ন দেশে কলিং কার্ড, পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা দিতেন। র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশতাক আহমেদ জানান, এদের ব্যবহৃত সিস্টেমে বিদেশ থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক মিনিট কল বাংলাদেশে আসত। যার মাধ্যমে রাজু প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতেন। ভিওআইপি ব্যবসার অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতেন। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পেমেন্টে (ইন্টারনেট ও সিম) ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করতেন। রাজু ২০১০ সালে দুবাই থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন। পরে দেশে কম সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় সবুজ নামে একজনের সহায়তায় ভিওআইপি ব্যবসা শুরু করেন। বাড্ডার একটি বাসায় ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

সর্বশেষ খবর