শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

উচ্চ ফলনশীল চীনাবাদাম চাষে কৃষক

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

উচ্চ ফলনশীল চীনাবাদাম চাষে কৃষক

স্বল্পখরচ, স্বল্পপরিশ্রমেই বাজিমাত করতে যাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল লোরি জাতের চীনাবাদাম চাষ। পরিত্যক্ত জমিতে যে কোনো ফসলের থেকে ভালো লাভ হচ্ছে এ বাদাম চাষে। এতে তেমন পরিচর্যারও প্রয়োজন নেই, নেই রাসায়নিক সারেরও তেমন ব্যবহার। এর পরও বাম্পার ফলনে আশা জাগিয়েছে কৃষকের মাঝে। অনেকে এ বাদাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চিরিরবন্দরে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলক প্রথমবারের ছয়টি প্রদর্শনীতে প্রান্তিক পর্যায়ের ছয়জন কৃষক প্রায় ৩ একর জমিতে উচ্চফলনশীল লোরি জাতের চীনাবাদাম চাষ করছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ভালো লাভবানও হবেন এমনটা আশা তাদের। ফলে স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী ফসল চীনাবাদামের চাষ ব্যাপক সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। চিরিরবন্দরের ফতেজংপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট এলাকার কৃষক মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, ২০ শতক জমিতে লোরি জাতের চীনাবাদাম চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। ওই জমিতে তিনি ৬-৭ মণ বাদাম পাবেন বলে আশা করছেন। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ৪/৫ হাজার টাকা দরে চীনাবাদাম বিক্রি হচ্ছে। ফতেজংপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে বাদাম চাষে খরচ অনেক কম। বীজ বপন ও পরিপক্ব বাদাম উত্তোলন পর্যন্ত তেমন খরচও নেই বললেই চলে।’ চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, ‘চীনাবাদামের পুষ্টিগুণ অনেক। চীনাবাদাম একটি উৎকৃষ্ট ভোজ্য তেলবীজ ও স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী ফসল। এর বীজে শতকরা ৪৮-৫০ ভাগ তেল ও ২২-২৯ ভাগ আমিষ রয়েছে। চীনাবাদামের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ২-২.২ মেট্রিক টন। আশা করি, চীনাবাদামের ভালো ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হবেন।’

সর্বশেষ খবর