রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিরহের আখ্যান নিয়ে সোনাই মধাব

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বিরহের আখ্যান নিয়ে সোনাই মধাব

মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে লোক নাট্যদল শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন করল নাটক ‘সোনাই মাধব’। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় এই নাটক। এটি দলের ১৫তম প্রযোজনার ২০০তম প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীটি দলের অন্যতম দুই প্রধান অভিনয়শিল্পী ও লোক নাট্যদলের সংগঠক প্রয়াত জাহিদুর রহমান পিপলু ও আসলাম শিহিরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়েছে।

মূলত সোনাই আর মাধবের প্রেম-বিচ্ছেদের কাহিনি নিয়েই এগিয়েছে নাটকটি। আর এর মধ্য  দিয়েই ফুটে উঠেছে মানবসমাজের বিভিন্ন দিক। বাপ-ভাই নেই, মায়ের একমাত্র সন্তান সোনাই। রূপে ও গুণে অতুলনীয়। মা তাকে মামার কাছে রেখে আসে ভালো পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ঘটকের নিয়ে আসা কোনো পাত্রই মামা-মামির পছন্দ হয় না। একদিন সোনাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় মাধবের। একসময় তাদের পরিচয় প্রেমে পরিণত হয়। নীরবে চলে দেখাশোনা, চিঠি আদান-প্রদান।  অন্যদিকে ওই গ্রামে এক দেওয়ান ছিল, তার নাম ভাবনা। তার অত্যাচারে সুন্দরী মেয়েরা ঘরের বাইরে যেতে পারত না। ভাবনা সোনাইয়ের রূপ-মাধুরীর কথা জানতে পেরে তার মামার কাছে যায়। মামা প্রথমে সোনাইকে ভাবনার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয় না। পরে নদীতে জল আনতে গেলে সোনাইকে নৌকায় তুলে নেবে বলে ভয় দেখায় ভাবনা। সে তাই করেও বসে। নৌকা থেকে কোনো নারীর কান্নার শব্দ আসছে শুনে মাধব গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং সে দেখে এ তারই প্রেমিকা সোনাই। পরে মাধব সোনাইয়ের বিয়ের আয়োজন করে। কিন্তু দেওয়ান ধরে নিয়ে যায় মাধবের বাবাকে। তাই বাবাকে উদ্ধার করার জন্য মাধব যায় দেওয়ানের কাছে। এদিকে সোনাই এক বছর একা ঘরে থাকে। তারপর তার শ্বশুর ফিরে এসে বলে সোনাই না গেলে মাধবকে ছেড়ে দেবে না ভাবনা। বাধ্য হয়ে সোনাই যায়। দেওয়ান মাধবকে ছেড়ে দিয়ে ঘরে এসে দেখে সোনাই বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটি।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- ইউজিন গোমেজ, জাহিদ চৌধুরী, আনোয়ার কায়সার, হাফিজুর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম, প্রদীপ সরকার, পিনাকী রঞ্জন সরকার, সায়িক সিদ্দিকী, নূরুল ইসলাম খান রতন, বাসুদেব হালদার, মনিলাল হালদার, মিনহাজুল হুদা দীপ, মোজাম্মেল হক পাপন, আবদুল আউয়াল, সাদেকুল ইসলাম, সুধাংশু নাথ, মোজাক্কির আলম রাফান প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর